যে কারণে শিশুর ঘাড়, কাঁধ বা মাথা ধরে কখনোই ঝাঁকাবেন না

শিশুদের মস্তিষ্ক খুবই কোমল বলে সহজেই আঘাত পায়ছবি: অনির্বান

শিশুদের কোলে নেওয়ার সময় বা আদর করার সময় সামান্য অসাবধানতায় হঠাৎ করে মস্তিষ্কে আঘাত লাগতে পারে। অনেক সময় বেশি ঝাঁকুনি, কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা বা আঘাত, জন্মগত মাথায় আঘাত বা অসাবধানতাবশত যে মস্তিষ্কের আঘাত ঘটে, তা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। বাড়িতে ও স্কুলে শিশু নির্যাতনের কারণেও এ রকম আঘাত লাগতে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে শেকেন বেবি সিনড্রোম বা ব্যাটার্ড বেবি সিনড্রোম।

আরও পড়ুন

খুলির ভেতর মগজ একধরনের তরল বা সেরিব্রো স্পাইনাল ফ্লুইডে ভাসমান থাকে। শিশুদের মস্তিষ্ক খুবই কোমল বলে কখনো কোনো আঘাত বা ঝাঁকুনিতে খুলির হাড়ের সঙ্গে ঘষা লেগে সহজেই আঘাত পায়। এতে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, চোখের ভেতর বা রেটিনায় রক্তক্ষরণ, স্পাইনাল কর্ডে আঘাত বা মগজের ভেতর পানি জমার মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

শিশুদের ঘাড়ের পেশি দুর্বল থাকায় অনেক সময় ঝাঁকুনি বা দুলুনির সময়ও এমন হতে পারে। সাধারণত দুই বছরের কম বয়সী শিশুরাই এ ধরনের আঘাত পায়। তবে পাঁচ বছর পর্যন্ত যেকোনো সময় এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে।

মৃদু আঘাতের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ শিশুর বেলায় তেমন বড় কোনো সমস্যা না-ও হতে পারে। মাঝারি ও গুরুতর আঘাত পেলে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শিশু মৃত্যুবরণ করতে পারে।

আরও পড়ুন

রেটিনা আঘাতপ্রাপ্ত হলে চোখের ভেতর রক্তক্ষরণ হয় ও অন্ধত্ব হতে পারে। মস্তিষ্কের ভেতর রক্তক্ষরণ হলে ভেতরে চাপ বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য সমস্যায় শিশু শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হতে পারে। জড়তা, খিঁচুনি, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

শিশুর ঘাড়, কাঁধ বা মাথা ধরে কখনোই ঝাঁকাবেন না। অতিরিক্ত কান্নাকাটি করলে তার কারণ বা অসুবিধার বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করুন, শিশুকে আঘাত করবেন না, ঝাঁকাবেন না বা মারধর করবেন না।

সূত্র: ওয়েবএমডি

আরও পড়ুন