খেজুর পানিতে ভিজিয়ে খেলে যে ১০ উপকারিতা

শুকনা খেজুর তো আমরা সবাই কমবেশি খেয়ে থাকি। তবে খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কতটা জানি? শীতকালে এই পানীয় বিশেষ উপকারী, কারণ এটি শরীরকে উষ্ণ করে। বিশেষ করে যাঁরা চিনিযুক্ত পানীয় খান না বা এড়িয়ে চলতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি চমৎকার বিকল্প। খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

খেজুর ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে যায়, ফলে এটা হজম করতে সুবিধা হয়
ছবি: পেক্সেলস

হজমক্ষমতা উন্নত করে

খেজুর ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে যায়, ফলে এটা হজম করতে সুবিধা হয়। বিশেষ করে যাঁদের দাঁতের সমস্যা বা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটা উপকারী।

পুষ্টি শোষণ উন্নত করে

খেজুর ভিজিয়ে রাখলে এতে থাকা অ্যান্টি-নিউট্রিয়েন্টগুলো ভেঙে যায়, যা আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে সহায়তা করে।

প্রাকৃতিক চিনি

যাঁরা চিনি খেতে চান না তাঁরা খেজুর ভিজিয়ে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন। প্রক্রিয়াজাত চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে ভেজানো খেজুর।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। রাতে ভিজিয়ে রাখলে খেজুরের ফাইবার নরম হয়ে যায়। এই ভেজানো খেজুর মলত্যাগ সহজ করে।

তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়

যাঁরা ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম করেন, তাঁদের তাৎক্ষণিক শক্তি দরকার হয়। তাঁরা খেজুর ভিজিয়ে রাখা পানি খেতে পারেন। কারণ, খেজুর ভিজিয়ে রাখলে এর প্রাকৃতিক চিনি বৃদ্ধি পায়। আর প্রাকৃতিক চিনি দ্রুত কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

কোলেস্টেরল কমায়

ভেজানো খেজুরে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা এলডিএল (লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এলডিএল কোলেস্টেরলকে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বলা হয়, কারণ এটি ধমনিতে জমা হয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই খেজুর ভেজানো পানি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমিয়ে হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা সুষম হয়

খেজুর ভিজিয়ে রাখলে এর গ্লাইসেমিক সূচক (জিআই) কমে যেতে পারে, ফলে রক্তে শর্করার নিঃসরণ ধীর হয়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার স্তর হঠাৎ করে বেড়ে যায় না। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে।

হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে

খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে। ভেজানো খেজুর এই খনিজ উপাদান শোষণে সাহায্য করে।

খেজুরে থাকা ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ
ছবি: পেক্সেলস

রক্তশূন্যতা উপশম করে

খেজুরে প্রচুর আয়রন থাকে। খেজুর ভিজিয়ে রাখলে তা থেকে আয়রন বের হয়ে আসে, যা সহজে শোষণযোগ্য হয়ে ওঠে এবং রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে।

ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে

ভেজানো খেজুরে থাকা ভিটামিন ও খনিজ ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকে প্রাকৃতিক দীপ্তি এনে দেয় এবং তারুণ্যপূর্ণ লাবণ্য বজায় রাখে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া