ভিটামিন ই কেন দরকারি

ভিটামিন ই ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে। কিন্তু ক্যাপসুল বা বড়ি হিসেবে মুখে খাওয়া বা ত্বকে লাগানো ঠিক হবে কি? আগে জানা যাক ভিটামিন ই কেন ত্বকের জন্য উপকারী।
বাদাম ভিটামিন ই—এর সবচেয়ে ভালো উৎস
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

১. আর্দ্রতা বজায় রাখা:

ভিটামিন ই অ্যামোলিয়েন্ট বা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বককে নরম রাখে।


২. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট:

ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ফ্রি র‍্যাডিকেলস নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। ফলে পরিবেশ দূষণ ও সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।


৩. বার্ধক্য প্রতিরোধে:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে ভিটামিন ই ত্বকের বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখাগুলো কমাতে সহায্য করে। এটি ত্বকের পুনর্গঠন এবং মেরামত প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে। যা ত্বককে তরুণ দেখাতে সাহায্য করে।

৪. মাতৃত্বকালীন দাগ নিরাময়:

ভিটামিন ই দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক কমানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। পক্সের দাগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের ভেতর মিশ্র মতামত রয়েছে।

৫. উজ্জ্বলতা বাড়ানো:

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে ।

৬. প্রদাহ কমানো:

ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে একজিমা বা রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রে।

৭. ঠোঁটের দাগ:

ঠোঁটের কালো দাগ দূরীকরণেও কার্যকরী।

আরও পড়ুন
বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার থেকে পাবেন ভিটামিন ই
ছবি: পেক্সেলস

নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কী থাকলে ভিটামিন ই–এর ঘাটতি পূরণ করা যায়, আসুন দেখে নিই:


১. বাদাম: আমন্ড, আখরোট ও চিনাবাদাম
২. বীজজাতীয় খাবার: সূর্যমুখীবীজ, কুমড়ার বীজ
৩. সবুজ শাকসবজি: পালংশাক, ব্রকোলি
৪. তেল: সূর্যমুখী তেল, অলিভ অয়েল, বাদাম তেল
৫. ফল: অ্যাভোকাডো, কিউই, পেঁপে
৬. মাছ: স্যামন, ট্রাউট মাছ
৭. শস্যদানা: গমের বীজ ও ভুট্টা


ডা. সিনথিয়া আলম, কনসালট্যান্ট, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড অ্যাস্থেটিক ডার্মাটোলজি বিভাগ, ইউনাইটেড হাসপাতাল, ঢাকা।

আরও পড়ুন