অতিরিক্ত গরম খাবার খেতে গিয়ে জিব-তালু পুড়েছে? জেনে নিন করণীয়
চা ও কফি খেতে গিয়ে প্রায়ই আমরা জিব পুড়াই। আবার যারা অতিরিক্ত গরম খাবার খেতে পছন্দ করে, তাদেরও খাবার খাওয়ার সময় জিব, তালু পুড়ে যেতে পারে, যা পরবর্তী সময় অস্বস্তি ও যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
হালকা লবণ মিশ্রিত গরম পানি
উপশমের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হালকা লবণ মিশ্রিত গরম পানি। হালকা গরম পানি মুখের ভেতরে রক্ত সরবরাহ উন্নত করে এবং লবণ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে। ২৫০ মিলিলিটার হালকা গরম পানিতে চা-চামচের ৮ ভাগের ১ ভাগ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করলে অনেকটাই ব্যথা কমে যাবে।
মুখ দিয়ে ঠান্ডা বাতাস নেওয়া
এই পদ্ধতি জিব বা মুখের জ্বালাপোড়া কমাতে ভালো কাজ করে। জিব মুখের তালুর সঙ্গে লাগিয়ে মুখের লালা পোড়া জায়গায় লাগাতে হবে। এতে জ্বালাপোড়া অনেকাংশেই কমে যায়। হা করে বাইরের ঠান্ডা বাতাস মুখের ভেতর নিতে হবে।
ঠান্ডা কিছু খাওয়া
ঠান্ডা পানি, বরফকুচি অথবা আইসক্রিম খেলে একদিকে যেমন ব্যথা উপশম হয় অন্যদিকে ঠান্ডা খাওয়ার ফলে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত হয় পাশাপাশি বিভিন্ন জীবাণুর আক্রমণও কমে যায়।
অ্যালোভেরার জেল লাগানো
ক্ষতস্থানে অ্যালোভেরার জেল লাগালে জিব, তালু পোড়া অনেকটা উপশম হয়। এটি অল্প পোড়াতে যেমন ভালো কাজ করে, তেমনি ক্ষত একটু গভীর হলেও এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে উপকার পাওয়া যায়।
পুদিনাপাতাবাটা
পুদিনাপাতাবাটা ক্ষতস্থানে লাগালে জ্বালাপোড়া অনেকটাই ভালো হয়, মুখের স্বাদ বৃদ্ধি পায়। পুদিনাপাতা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। পুদিনাপাতাবাঁটা না থাকলে পুদিনাপাতার টুথপেস্ট ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে গড়গড়া করলেও অনেক উপকার হয়।
মধু বা চিনি দিয়ে তৈরি মিশ্রণ
পোড়া স্থানে মধুর মিশ্রণ অথবা পানি দিয়ে চিনির মিশ্রণ লাগালেও কাজ করে।
ভিটামিন-ই ক্যাপসুল
বাজারে যেসব ভিটামিন-ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়, তা তাৎক্ষণিক লাগালেও আরাম পাওয়া যায়।
মুখের ভেতরে পুড়ে গেলে যা খাওয়া যাবে না
সাধারণত এ ধরনের পোড়া খুব বেশি মারাত্মক নয়। তবে কিছু বিষয় মেনে না চললে কষ্ট আরও বাড়তে পারে। যেমন অ্যাসিডজাতীয় খাবার, লেবুর রস, কফি, অধিক মসলাযুক্ত খাবার, অ্যালকোহলযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ডা. শিমু আক্তার: সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকস বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ