গরমেও কি বিষণ্নতা বাড়ে

গ্রীষ্মের উজ্জ্বল দিনেও কারও কারও বিষণ্নতা বাড়তে পারে
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

কেবল বর্ষার মেঘলা আবহাওয়া কিংবা শীতের বিবর্ণ পরিবেশেই যে বিষণ্নতা বাড়ে, তা কিন্তু নয়। গ্রীষ্মের উজ্জ্বল দিনেও কারও কারও বিষণ্নতা বাড়তে পারে। বিশেষ করে মানুষ প্রচণ্ড দাবদাহে শরীর থেকে পানি-লবণ হারিয়ে ক্লান্ত-বিষণ্ন হয়ে পড়ে। বিষণ্ন মানুষ কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন, নিজেকে খুব ক্ষুদ্রও মনে করতে পারেন তিনি। খাওয়া-দাওয়া, ঘুম—সবই এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলেই নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বিষণ্নতা যাতে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

১. ঘুম হোক ঠিকঠাক

গ্রীষ্মের রাত খুব একটা দীর্ঘ হয় না। তার বড় একটা অংশ যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রল করে কাটিয়ে দেন, তাহলে কিন্তু রাতে ঘুমের জন্য তেমন একটা সময় থাকে না। তাতে গ্রীষ্মের প্রখর রোদের দিনের অনেকটা সময়জুড়ে আপনার ঘুম ঘুম ভাব হবে, আপনি ক্লান্ত ও অবসন্ন বোধ করতে পারেন। কিন্তু বিষণ্নতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আপনাকে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।

২. রুটিন মেনে জীবনযাপন

ঘুম ছাড়াও দৈনন্দিন অন্যান্য সব দিক যাতে ঠিক থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখুন। সময়মতো খাওয়া, শরীরচর্চা করা এবং নিজের যত্নের অন্য বিষয়গুলো নিশ্চিত করুন। আপনার হয়তো এত কিছু সময়মাফিক করতে ইচ্ছা করে না। তবে রুটিনে এমন কাজও রাখুন, যা করলে আপনার একটু হলেও মন ভালো হয়। ভালো লাগার একটা কাজের উৎসাহেই না হয় বাকি কাজগুলোও সেরে নেবেন সময়মতো।

আরও পড়ুন

৩. অবসর কাটান ঘরের বাইরে

বাইরে উত্তাপ। অবসর সময়ে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখা বা স্মার্ট গ্যাজেট চালানোই হয়তো আরামদায়ক অবসরযাপন। কিন্তু তাতে আপনি বিষণ্নতার চক্করে ঘুরপাক খেতেই থাকবেন। তাই দিনের যে সময়টায় তাপমাত্রা একটু কম থাকে, তখন বাইরে যান। হতে পারে সেটা সন্ধ্যা বা রাত। কয়েকটা দিন ছুটি পেলে এমন কোথাও যেতে পারেন বা এমন কিছু করতে পারেন, যাতে আপনার নিজের ভালো লাগে।

৪. অন্য ব্যক্তির জন্য বাড়তি ভাবনা নয়

অন্য কারও মন জুগিয়ে চলতে গেলে কিংবা আশপাশের নানা মানুষের পরামর্শমতো চলতে গেলে সবটাই এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। নিজের মন খারাপের কথা সবাইকে বলতে নেই। কে কী ভাববে, সেসব নিয়েও মাথা ঘামানোর কিছু নেই। সৌন্দর্য, ওজন, সাফল্য—নানা বিষয়েই আপনি হীনম্মন্যতা বোধ করতে পারেন। এসব নিয়ে ভাববেন না। ভাবনা চলে এলে ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিন। মনে রাখবেন, এসবের চাইতে জীবনের অর্থ অনেক বেশি গভীর।

এ ছাড়া প্রচুর পানি খান। ডাব, মৌসুমি ফল খান। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে যা কিছু জরুরি, করুন। সুস্থ থাকুন। কেননা, কথায় বলে, সুস্থ দেহ, সুন্দর মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন।


সূত্র: ওয়েবএমডি

আরও পড়ুন