আত্মহত্যার প্রবণতার উপসর্গগুলো জেনে রাখুন
কেউ আত্মহত্যা করলে যে শূন্যতা তৈরি হয়, তা আর কখনোই পূরণ হয় না। তখন শুধু সঙ্গী হয় সান্ত্বনা। অথচ আত্মহত্যায় একটা জীবন নষ্ট হয়ে যাওয়ার আগেই যদি পরিবার এবং বন্ধুরা পর্যাপ্ত মানসিক সমর্থন জোগাতে পারতেন, তাহলে কিন্তু এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যেত।
পড়ালেখায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থতা, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, কাছের মানুষের মৃত্যু এবং আর্থিক বা আইনগত ঝামেলায় পড়ার মতো সমস্যায় মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করতে পারেন। যেকোনো কারণে প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেলে কিংবা কোনো মারাত্মক শারীরিক সমস্যা ধরা পড়লে আত্মহত্যার প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু মানসিক সমস্যাতেও এ প্রবণতা দেখা দেয়।
আচরণের পরিবর্তন
কারণ যেটিই হোক, আত্মহত্যার আগে একজন ব্যক্তির আচরণে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে।
হাসিখুশি, আমুদে মানুষ হঠাৎ করেই অন্যের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে শুরু করে। একা থাকতে পছন্দ করেন। কাজেকর্মে অনীহাও দেখা যায়।
কাছের মানুষদের সঙ্গে হতাশার কথা ভাগ করে নেন কেউ। নিজের জীবনকে একটা বোঝা মনে হচ্ছে, এমনটাও বলেন।
কারও কারও মধ্যে বিধ্বংসী আচরণ দেখা যায়। অল্পতেই বিরক্ত হয়ে পড়তে পারেন কেউ কেউ।
কেউ আবার আত্মহত্যার আগে থেকে মৃত্যু সম্পর্কেই আলাপ-আলোচনা করতে থাকেন। কেউ আত্মহত্যার উপায় সম্পর্কে খোঁজখবর করেন।
প্রিয় জিনিস অন্যকে দিয়ে দেন কেউ কেউ। কেউ আবার পরিচিতজনদের থেকে বিদায় নিয়ে নেন।
কারও কারও ঘুম কমে যায়, কাউকে আবার খুব বেশি ঘুমাতে দেখা যায়।
কেউ আবার ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করতে থাকেন। মাদকাসক্তও হয়ে পড়তে পারেন।
আপনজনের কর্তব্য
যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনজনের পাশে থাকুন—
পরিবারের ছোটরা পড়ালেখা বা অন্য প্রতিযোগিতায় ভালো ফল না করলে তাকে তিরস্কার করবেন না। কাউকে কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি কিনে দিতে না পারলে কিংবা তার কোনো চাওয়া মেটাতে না পারলে বিষয়টি তাঁকে বুঝিয়ে বলুন।
অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না।
বন্ধু এবং স্বজনদেরও দায়িত্ব রয়েছে। কাউকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। অন্যের ক্যারিয়ার, বিয়ে, সন্তান না হওয়ার মতো নিতান্ত নিজস্ব বিষয় নিয়ে কখনোই আলাপ করবেন না।