উৎসবের মৌসুমে ওজন ঠিক রাখার কৌশল
চলছে শীতের মৌসুম। এটা আমাদের উৎসব, আমন্ত্রণ, বেড়ানো ও খাওয়ারও মৌসুম। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন বা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁদের এ মৌসুমে বিপাকে পড়তে হয়। কারণ, আমাদের নিমন্ত্রণ বা উৎসবের খাবারদাবারের বেশির ভাগই উচ্চ ক্যালরিযুক্ত হয়ে থাকে। জেনে নিন, সামাজিক অনুষ্ঠান, উৎসব বা নিমন্ত্রণে গিয়েও কীভাবে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
যেদিন নিমন্ত্রণ থাকবে বা বেশি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, ওই দিন অন্য বেলায় ক্যালরি গ্রহণ কমিয়ে দিন।
রাতে উৎসব অনুষ্ঠান থাকলে দিনের শর্করা বা ভাত বাদই দিতে পারেন। শাকসবজি, স্যুপ, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন।
পেটে খিদে নিয়ে নিমন্ত্রণ খেতে যাবেন না। এতে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। নিমন্ত্রণে যাওয়ার আগে শসা, সালাদ, বাদাম, পনির, ফল, ইসবগুলের ভুসি বা তোকমা মেশানো পানি খেতে পারেন। তাতে অনুষ্ঠানে গিয়ে কম খাওয়া হবে।
প্রথমেই ভাত বা পোলাও নেবেন না। আগে সালাদ, সবজি, মুরগি, মাছ ইত্যাদি নিন। সব শেষে পেট প্রায় ভরে গেলে অল্প পোলাও বা ভাত নিন।
ঝোল, মসলা ইত্যাদি বাদ দিয়ে কেবল মুরগি বা মাংস নিন। খাসি বা গরুর মাংস দুই টুকরার বেশি নয়।
যদি বুফে বা অনেক পদ থাকে, তাহলে আগে মনস্থির করে নিন। নানা পদের সালাদ, সবজি, স্যুপ, রুটি, চিকেন, মাছ ইত্যাদি দিয়ে খাবার সেরে নিন।
কোমল পানীয় পরিহার করুন। পানি বা বোরহানি নিতে পারেন। খাওয়ার শেষে ডেজার্ট, ফিরনি, জর্দা, পায়েস, মিষ্টি এড়িয়ে যান।
হাত দিয়ে না খেয়ে চামচ দিয়ে খেলে কম খাওয়া হয়। বুফে হলে ছোট প্লেট নিন।
যেদিন বেশি খাওয়া হবে সেদিন ব্যায়ামটাও বাড়িয়ে দিন। অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করে ফেলুন।
খাবার শেষে বরং একটু টক দই বা লেবুপানি খেতে পারেন। এতে বিপাক ভালো হবে, বদহজম হবে না। বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে না শুয়ে হালকা হাঁটাহাঁটিঁ করুন।
কোনো রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সতর্ক থাকুন। যেমন উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনার ফরমায়েশ করা পদে লবণ কম দিতে বলুন, টেস্টিং সল্ট বা সয়া সস ছাড়া সালাদ প্রস্তুত করতে বলুন। কম তেল, কম মসলায় রান্না করতে বলুন।
হতাশ হবেন না। পরদিন থেকে আবার স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম শুরু করুন। নিজের দৈনন্দিন শৃঙ্খলা থেকে বেরিয়ে পড়বেন না।
জেনিফার বিনতে হক, পুষ্টিবিদ