নখের কোনা ভেতরের দিকে মাংসে বা ত্বকে দেবে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে। এর ফলে নখের কোনায় প্রদাহ হয়, ব্যথা করে, লাল হয়ে যায় বা ফুলে যায়। সংক্রমণ হলে পুঁজও হতে পারে। পায়ের বুড়ো আঙুলের নখে এমনটা বেশি ঘটে। সাধারণত অতিরিক্ত আঁটসাঁট জুতা পরা, নখে আঘাত, সংক্রমণ, খুব গভীর করে নখ কাটা, খোঁচাখুঁচি ইত্যাদি কারণে এমনটা হয়। এ ছাড়া আঘাতজনিত, ডায়াবেটিস ও কোনো কারণে পায়ে রক্ত চলাচল কমে গেলে এ সমস্যা হতে পারে।
চিকিৎসা
হালকা কুসুম গরম পানিতে কোনা দেবে যাওয়া নখের আঙুল ১০ থেকে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন।
পানি থেকে তোলার পর নরম কাপড় দিয়ে মুছে কোনার ভেতর পরিষ্কার তুলা বা গজ ঢুকিয়ে একটু আলগা করে বা উঁচু করে রাখুন।
পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে গজ দিয়ে হালকা ব্যান্ডেজ করে রাখতে পারেন।
এ রকম দিনে তিন থেকে চারবার করতে হবে।
ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
এ সময় বাইরে যেতে হলে ঢিলেঢালা স্যান্ডেল বা জুতা পরুন।
ওপরে উল্লেখ করা ঘরোয়া চিকিৎসায় উপকার না পেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভালো। বিশেষ করে যদি ব্যথা বাড়ে, পুঁজ জমা হতে দেখা যায় বা ডায়াবেটিস থাকে।
চিকিৎসক স্প্লিন্ট, তুলা বা ফ্লস দিয়ে নখের কোনা আলগা উঁচু করে দেবেন ২ থেকে ১২ সপ্তাহের জন্য। শিখিয়ে দেবেন কীভাবে বাড়িতে পা পরিষ্কার করে তুলা বদলাতে হবে। দেবে যাওয়া খানিকটা অংশ বা কখনো দরকার হলে গোটা নখ তুলে ফেলার দরকার হতে পারে।
সতর্কতা
খুব গভীর করে বা কোনা করে নখ কাটবেন না। একটু বাড়তি ও সোজা করে রাখুন।
অতিরিক্ত আঁটসাঁট জুতা পরবেন না, যাতে নখ বা আঙুল ভেতরে চেপে থাকে। স্পেস আছে বা একটু আরামদায়ক জুতা পরবেন।
যাঁদের নখের কোনা দেবে যাওয়ার প্রবণতা আছে, তাঁরা জুতার ভেতর প্রটেকটিভ ফুটওয়্যার পরতে পারেন।
ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
নখ ও আঙুল মাঝেমধ্যে পরীক্ষা করুন। কোনো রং পরিবর্তন বা ফোলা দেখলে ও ব্যথা থাকলে সতর্ক হোন।
মনে রাখুন
নখের কোনা দেবে যাওয়া বেশ কষ্টকর একটি সমস্যা। এটি নিয়ে অবহেলা করবেন না। প্রদাহ ও সংক্রমণ বাড়লে বিপদ হতে পারে।
নিয়মিত পায়ের যত্ন নেবেন ও পায়ের যেকোনো সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন।
অধ্যাপক মো. আসিফুজ্জামান, বিভাগীয় প্রধান, চর্মরোগ বিভাগ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ