নিজের যত্ন নেওয়ার চার উপায়
আপনি যখন নিজের যত্ন নিতে শুরু করেন, তখন একসঙ্গে অনেকগুলো ব্যাপার ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিকতম এক গবেষণা বলছে, মানুষ যখন নিজেই নিজের যত্ন নেয় এবং নিজের সঙ্গ উপভোগ করে, তখন তার শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম আরও সক্রিয় হয়। আরও ভালো কাজ করে। ফলে আপনি সারা দিনে যে খাবার গ্রহণ করেন, সেগুলো সহজেই এনার্জিতে রূপান্তরিত হয়। আর আপনার কর্মক্ষমতা বাড়ে। আপনি সারা দিন এনার্জি নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া ‘সেল্ফ কেয়ার’ বা আত্মযত্ন দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ কমায়। কাজে মনোযোগ বাড়ায়। হতাশা, রাগ—এই ধরনের মানসিক অবস্থার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। প্রশান্তি বাড়ায়। নিজের যত্ন নেওয়ার কিছু পদ্ধতির কথা জানিয়েছে গ্রো ব্রিজ মাউন্ডসেট।
১. ‘মেন্টাল ডায়েটে’র উন্নয়ন
আপনি যখন বুঝবেন যে আপনার ডায়েট কেবল খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তখন অনেক কিছু বদলে যাবে। আপনি অনলাইন আর অফলাইনে যা কিছু পড়েন, দেখেন, যাঁদের ফলো করেন, যাঁরা আপনার বন্ধু—এই সবকিছুই মেন্টাল ডায়েটের অন্তর্ভুক্ত। তাই বুঝেশুনে ইন্টারনেটে সময় কাটান। পরিবারকে সময় দিন। ভালো বই পড়ুন। ভালো সিনেমা দেখুন। আর খাবার থেকে জাংক ফুডকে বলুন ‘টা টা বাই বাই’! সুস্থ শরীরের সঙ্গে সুন্দর মনের বিকল্প নেই।
২. মানসিক স্বাস্থ্যে নিজের ওপর নির্ভরতা
আপনার ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন, অর্থনৈতিক অবস্থা, অন্যরা আপনাকে নিয়ে কী ভাবছে, আপনি যেসব ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন, আপনার জীবনসঙ্গীর মানসিক অবস্থা, আপনার মা–বাবার স্বাস্থ্য—এই সবকিছুর ওপর নির্ভর করে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য। তাই আপনি কেবল সেগুলোর ওপরই বেশি মনোযোগী হবেন, সেগুলো আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে! ধরুন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কী মন্তব্য করল, সেটি আপনার হাতে নেই। তাই সেটিকে কম গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে অগ্রাহ্য করুন। মোটকথা নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের নিয়ন্ত্রণ অন্যের কাঁধে তুলে দেবেন না।
৩. নিজের গণ্ডি ছোট রাখুন
নিজেকে আপনি যতই ছড়িয়ে ফেলবেন, ততই হারিয়ে ফেলবেন। আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। তাই নিজের গণ্ডি ছোট রাখাই সমীচীন। আপনার পরিবারের আপনজন, সত্যিকারের বন্ধু বা সত্যিকারের সম্পর্ক—এগুলো আপনি হারাতে দেবেন না। বাকি সবকিছু এদিক–সেদিক হলে আপনি সহজেই সেগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন।
৪. ‘রিপ্লেসমেন্ট’ জরুরি
‘সেল্ফ কেয়ারে’র সঙ্গে ‘রিপ্লেসমেন্টে’র সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন ফোসবুকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় না দিয়ে ওই সময়ে ঘুমান। আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। ভুল ইনফ্লুয়েন্সার বদলে সৃজনশীল ইতিবাচক মানুষের সংস্পর্শে আসুন। বিষাক্ত সম্পর্কে আপনান যতই ‘টান’ থাকুক না কেন, বেরিয়ে আসুন। রান্নার কোর্সে ভর্তি হন। অতীতে তাকাবেন না। তাকাবেন সামনের দিকে, ভবিষ্যতের দিকে।