এই সাইকোলজিক্যাল ট্রিকগুলো জেনে রাখুন, ভবিষ্যতে কাজে দেবে
অনেকেই অন্যকে প্রভাবিত করতে বিভিন্ন ধরনের সাইকোলজিক্যাল ট্রিকস ব্যবহার করেন। সাইকো টিপসের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল অনুসারে এমনই ১২টি চমকপ্রদ কৌশল জেনে নেওয়া যাক।
১. আপনি যদি কারও কাছ থেকে সত্যিটা জানতে চান, রাতে জিজ্ঞেস করুন। সাধারণত মানুষ যখন ক্লান্ত থাকে, তখন সত্যি কথা বলে। শারীরিকভাবে পরিশ্রান্ত অবস্থায় মানুষের পক্ষে চট করে ভেবে বা সাজিয়ে মিথ্যা বলা কঠিন।
২. কারও কাছে সত্যিটা জানতে চাইলে আগে তাঁকে হাসান। তারপর তাঁকে প্রশ্ন করুন। আপনার সঙ্গে হাসাহাসি করার ফলে তিনি আপনার সামনে সহজ–স্বাচ্ছন্দ্য হয়ে যাবেন।
৩. কেউ নাম জিজ্ঞেস করলে নিজের পুরো নাম বলুন। প্রশ্নকর্তা আপনাকে ‘সিরিয়াসলি’ নেবেন।
৪. প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি গান শুনুন। এই অভ্যাস আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। নিয়মিত পছন্দের গান শোনার অভ্যাস হতাশা কাটাতে সাহায্য করে। এমনকি শারীরিক ব্যথা উপশমেও সহায়তা করে।
৫. কেউ যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেন, অল্প সময়ের ভেতর কিছু করে ফেলতে বলেন, সেই অফার বা চুক্তিটি সম্ভবত ভুল বা ত্রুটিপূর্ণ। হুলুস্থুল করে এই ধরনের ফাঁদে পা দেবেন না।
৬. বিপদে পড়লে, নার্ভাস লাগলে বা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগলে চুইংগাম বা এই জাতীয় কিছু চিবান। যখন আপনি কিছু খাচ্ছেন, তখন আপনার মস্তিষ্ক বিপদ বা স্নায়ুচাপের কথা ভুলে যায়।
৭. যে কোনো তর্কের সময় শান্ত থাকুন। ধীরে কথা বলুন। এতে অপরপক্ষের কাছে বার্তা যাবে যে আপনি জয়ী।
৮. কেউ যখন আপনাকে ছোট করে বা অপমান করে কথা বলে, তখন নরম স্বরে তাঁর কাছে জানতে চান, ‘আপনি ঠিক আছেন?’ অথবা তাঁর দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসুন। এতে ওই ব্যক্তি স্নায়ুচাপে পড়ে যাবেন। নিজেকে তাঁর মনে হবে বোকা।
৯. কারও সঙ্গে কথা বলার সময় মাথাটা একদিকে সামান্য বাঁকিয়ে রাখুন। এতে আপনাকে আকর্ষণীয় আর মনোযোগী দেখাবে। প্রিন্সেস ডায়ানা সব সময় এটি করতেন।
১০. কেউ আপনাকে ছেড়ে গেলে এমন ভাব দেখান যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। এতে সে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
১১. আপনি কাউকে দিয়ে কোনো কাজ করিয়ে নিতে চাইলে তাঁকে কাছাকাছি দুটো বিকল্পের ভেতর যে কোনো একটা বেছে নিতে বলুন। এতে সে মনে করবে, কাজটা সে নিজের সিদ্ধান্তে করছে।
১২. কারও সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে তাঁর চোখের মণির রঙ ভালোভাবে লক্ষ করুন। আসলে চোখের মণির রঙ দেখা বা মনে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রথম দেখায় ব্যক্তির চোখের দিকে গভীরভাবে তাকানো, ‘আই কন্টাক্ট’ হওয়া বা চোখে চোখ রাখা। এই একমুহূর্তের চোখাচোখি পরবর্তীতে সম্পর্কের গভীরতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।