জাহিদ খানের ৪০ হাজার টাকার কনে সাজে কী এমন আছে?
স্টুডিওভিত্তিক মেকআপ আর্টিস্টদের চাহিদা বেড়েছে আজকাল। অনেকের হাতে বউ সাজতে কয়েক মাস আগেই বুকিং দিতে হয়। জাহিদ খান এই সময়ের তেমনি একজন জনপ্রিয় মেকআপ আর্টিষ্ট। তাঁর কাছে কনে সাজতে দেশ সেরা তারকা থেকে শুরু করে অনেকে সাধারণ মেয়েও এখন ইচ্ছে পোষণ করেন। ‘বর্ণিল বিয়ে’ ম্যাগাজিনের জন্য নিজের সিগনেচার স্টাইলে সাজালেন জাহিদ খান। কি এমন বিশেষত্ব আছে তার সাজে, জানতে উপস্থিত ছিলেন আবৃতি আহমেদ
সাজানোর কাজটাও কি শুধু নারীদেরই? পৃথিবীজুড়ে বিখ্যাত অনেক মেকআপ আর্টিস্ট আছেন, যাঁরা পুরুষ। তাঁদের নিখুঁত তুলির আচড়ে নারী হয়ে ওঠেন আরও সুন্দর। বাংলাদেশে যেসব পুরুষ রূপসজ্জাকর রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম জাহিদ খান। এখন তিনি দেশের জনপ্রিয় রূপসজ্জাকরদের একজন।
তবে আজকের এই যে জনপ্রিয়তা, তার হাতে কনে সাজতে দিতে হয় লম্বা সিরিয়াল তার শুরুর দিনগুলো ছিল বেশ কঠিন।পদে পদে প্রমাণ করতে হয়েছে নিজেকে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা পেয়েছেন অনেক। হাতের জাদুতে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। জাহিদ খান বলেন, ‘সাজে নিত্যনতুন পরিবর্তন দেখা যায়। তাই আন্তর্জাতিক ধারা কোনদিকে, সেটা খেয়াল রাখার চেষ্টা করি। যাকে সাজাচ্ছি, সেই মানুষটাকে যেভাবে সবচেয়ে সুন্দর লাগবে, সেটাই করতে চেষ্টা করি।
যেমন কনেরা আজকাল আগের মতো গাঢ় রং না পরে, হালকা রঙের পোশাক বেছে নিচ্ছেন বিয়েতে। তাই সাজেও সেই পরিমিতি থাকা জরুরি বলে মনে করেন জাহিদ খান। আর যে কারণে তার মেকআপ জনপ্রিয় হচ্ছে এখন। শুধু সোনার গয়নায় আটকে না থেকে চুনি, পান্না ও পাথরের গয়না পরছেন কনেরা। সেভাবে মুখের সাজেও পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। রাজধানীর নিকেতন ৮ নম্বর রোডের একটি ভবনের তৃতীয় তলাজুড়ে জাহিদ খানের ঝলমলে ব্রাইডাল স্টুডিও। সেখানেই প্রতিদিন কনে সাজান তিনি।
বর্ণিল বিয়ের জন্য গোলাপি রঙের জামদানি শাড়িতে স্নিগ্ধ কনে সাজালেন জাহিদ খান। পেছনে টেনে খোঁপা বেঁধেছেন চুলে, তাতে শাড়ির সঙ্গে রং মিলিয়ে গুঁজে দিয়েছেন চারটি তাজা গোলাপ। মুখের সাজে চাকচিক্যের বদলে দিয়েছেন স্নিগ্ধ মেকআপ। কাজল দেওয়া হালকা চোখ, হালকা ঠোঁট আর গালে হালকা গোলাপি আভা। শাড়ির রং হালকা বলেই সাজে বেছে নিয়েছেন গাঢ় সবুজ পান্নার গয়না। মিলিয়ে কানে দুল আর সিঁথিতে টিকলি। দুই হাতে সাদা, সবুজ কাচের চুড়ির সঙ্গে পরিয়েছেন কুন্দনের চুড়ি।
জাহিদ খান জানালেন, তার কাছে সাজতে চাইলে এক মাস আগে কনেকে বুকিং দিতে হবে। এ জন্য খরচ পরবে ৪০ হাজার টাকা। সাধারণত আন্তর্জাতিক মানের প্রসাধনীর ব্যবহার করে থাকেন তিনি। আর এ জন্য জাহিদ খানের মেকআপ তারকা থেকে সাধারণ মানুষ সবার কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।