কেমন হবে ঘুমের পোশাক
ঘুম শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে এবং পরবর্তী দিনের জন্য ব্যক্তিকে প্রস্তুত করে। পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখে, হৃদ্রোগ ও বিষণ্নতার ঝুঁকি কমায়, বাড়ায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। সুস্থতার জন্য তাই ঘুম খুব জরুরি। আর ভালো ঘুমের জন্য ঘুমানোর পোশাকটা হওয়া চাই আরামদায়ক।
‘ঘুমের পোশাক আঁটসাঁট হলে বাধাগ্রস্ত হয় রক্ত চলাচল। পোশাকটা আরামদায়ক না হলে শ্বাসপ্রশ্বাসও বাধাগ্রস্ত হয়। ভালোমতো শ্বাস নিতে না পারলে দেহে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। আর অক্সিজেনের ঘাটতিতে কিডনি, মস্তিষ্ক, হার্ট ইত্যাদি অঙ্গ ভালোভাবে কাজ করতে পারে না,’ বলছিলেন ফ্যাশন হাউস ক্লাব হাউসের ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ রেদোয়ানা হক।
আঁটসাঁট প্যান্ট বা জিনস পরে ঘুমালে পায়ের নার্ভও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নার্ভের এ ধরনের সমস্যাকে ম্যারালজিয়া প্যারেসথেটিকা বলে। এতে পায়ে ব্যথা, অসাড়তা, গোড়ালি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা হয়। আঁটসাঁট পোশাকের কারণে অনেক সময় অতিরিক্ত ঘাম থেকে ফাঙ্গাল ইনফেকশনও হতে পারে। আবার পেটে বেল্ট বাঁধা পোশাক পরে ঘুমালে পাকস্থলীতেও সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এতে হজমে গোলমাল ও অ্যাসিডিটি হয়।
তাই ঘুমের জন্য চাই আরামদায়ক পোশাক। এটি কেমন হবে, জানালেন রেদোয়ানা হক, ‘খুব আঁটসাঁট নয়, আবার খুব ঢোলাও নয়, এমন পোশাক পরে ঘুমালে আরাম পাবেন। আর এটি হবে হালকা রঙের। যেমন সাদা, চাপা সাদা, গোলাপি, বাদামি, হালকা সবুজ, হালকা হলুদ ইত্যাদি। কালো বা অতিরিক্ত গাঢ় রঙের পোশাক একদমই এড়িয়ে যেতে হবে। এগুলো গরম বাড়ায়। শীতে ফুলহাতা ও গরমে হাফহাতা পরতে পারেন। রাতে পরার জন্য বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের ফ্যাশনেবল ও আরামদায়ক পোশাক পাওয়া যায়। ওয়ান পিস অথবা টু পিসের সেট—দুটিই রয়েছে।’
ঘুমের সময় আরামদায়ক পোশাক হিসেবে বেছে নিতে পারেন টি-শার্ট, গাউন, ম্যাক্সি, কাপ্তান ও ঢোলা টপ। নিচে পরার জন্য পালাজ্জো, ঢোলা পায়জামা, শর্ট ঢোলা প্যান্ট ইত্যাদি। সাধারণত, একদম সুতি, মিশ্র সুতি, সুতি-লিনেন, নিট, লিনেন-ভিসকস, সুতি-ভিসকস ইত্যাদি ফেব্রিকসে তৈরি পোশাক পরলেই আরাম পাবেন। পোশাকে স্কয়ার, বোট নেক, ভি, গোল, পশ্চিমা ধাঁচের লম্বা গলা স্বস্তি দেবে। আর এমন পোশাক বেছে নেবেন না, যেগুলোয় বেশি কারুকাজ আছে, ঘুমের সময় এগুলোও দেহের জন্য অস্বস্তিদায়ক। এমনটাই পরামর্শ দিলেন রেদোয়ানা হক।