আপনার পোশাক আপনার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো দেয়, জানেন?

পোশাক নীরবে পরিধেয় ব্যক্তির সম্পর্কে অনেক তথ্য বলে দেয়। এ সম্পর্কে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডা. জেনিফার বামগার্টনার ‘সাইকোলজি অব ড্রেস’ নামে একটি বই-ই লিখে ফেলেছেন। সেই অনুসারে জেনে নেওয়া যাক, আপনার পোশাক আর ওয়ার্ডরোব আপনার সম্পর্কে কী বলে।

পোশাক ডিক্লাটার করতে না পারলে বুঝবেন আপনি এখনো অতীতের সঙ্গে যুক্ত
ছবি: পেক্সেলস

১. আপনি এখন পর্যন্ত যত পোশাক কিনেছেন, সবই আলমারিতে রেখে দিয়েছেন? এর মানে, আপনি অতীতে ঘটা নানা ঘটনার সঙ্গে মানসিকভাবে যুক্ত আছেন। সহজে ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারেন না। প্রতি তিনটি ছোট-বড় যেকোনো পোশাকের ভেতর দুটি ডিক্লাটার করতে পারেন।

২. আপনি কি কেবল নিউট্রাল পোশাক পরেন? গয়না বা অনুষঙ্গ কিছুই পরতে চান না? এর মানে, আপনি স্বভাবে অন্তর্মুখী। পোশাকের মধ্য দিয়ে অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান না। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো গয়না ও পলকা ডটের মতো প্রিন্ট পরতে পারেন।

৩. ওভারড্রেসিংয়ের একটা মানে হলো, আপনি নিজেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী নন বা আপনার মনে হয় আপনি যথেষ্ট নন। এ কারণে আপনি নানা পোশাক ও অনুষঙ্গের আড়ালে নিজের শরীর আর ব্যক্তিত্বকে লুকিয়ে ফেলতে চান।

অনেকেই মায়ের পোশাক বা বাবার সোয়েটারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাঁদের জন্য ’মি টাইম’
ছবি: পেক্সেলস

৪. মানুষ তাঁর মনের বয়স অনুসারে পোশাক পরেন। তাই আপনার যদি মনে হয়, মানুষটি তো তাঁর বয়সের তুলনায় তরুণদের পোশাক পরেছেন, এর মানে তিনি মানসিকভাবে তরুণ। আবার পোশাক দেখে আপনি বলে দিতে পারেন কে মানসিকভাবে তাঁর বয়সের তুলনায় আরও বেশি পরিণত।

৫. আপনি কি সব সময় ফরমাল লুকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন? এর মানে হতে পারে, আপনি আপনার করপোরেট–জীবনকে একটু বেশিই সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেছেন।

আরও পড়ুন

৬. আপনার কাছে কোনো ব্যক্তির পোশাক অনুষ্ঠান অনুসারে অনুপযুক্ত মনে হতে পারে। এর মানে, ওই ব্যক্তি পোশাকের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে চান যে তিনি প্রথাবিরোধী। সামাজিক রীতিনীতি ও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করেন না। তিনি নিজের নিয়মেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

মানুষ তাঁর মনের বয়স অনুসারে পোশাক পরেন
ছবি: পেক্সেলস

৭. একটা মানুষ যদি সব সময় ডিজাইনার ড্রেস বা লোগোযুক্ত পোশাক, ব্যাগ ও ঘড়ি ব্যবহার করেন, এর মানে তিনি নিজের ব্যক্তিত্ব বা স্বাতন্ত্র্যের চেয়ে তাঁর আর্থিক অবস্থার মাধ্যমেই পরিচিত হতে আগ্রহী। এই মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মানুষ মানুষকে তাঁদের আর্থিক অবস্থা দিয়ে মূল্যায়ন করেন।

৮. অনেকে মায়ের পোশাক বা বাবার সোয়েটারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এই মানুষেরা তাঁদের নিজেদের প্রয়োজনের চেয়ে পরিবারের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেন। সাইকোলজিস্ট ডা. জেনিফার তাঁদেরকে ‘মি টাইম’–এর ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছেন।

মন ভালো করার একটা উপায়

চট করে মন ভালো করার একটা জুতসই উপায় হলো, হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে উজ্জ্বল রঙের সুন্দর পোশাক পরা। পরিপাটিভাবে থাকা। কমলা, হলুদ, সবুজ বা নিয়নের মতো উজ্জ্বল রং বিষণ্নতা কাটাতে সাহায্য করে।

সূত্র: ফোর্বস

আরও পড়ুন