বিনোদনের মানুষ ছিলেন, পরে যান রাজনীতিতে, জানুন দুই প্রয়াত তারকার জীবনযাপন
শুরু থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষের ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাপন জানতে চেষ্টা করেছে ‘অধুনা’। নানা অঙ্গনের অনেক তারকা রোজকার অভ্যাস ও শখ নিয়ে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন একাধিক ভঙ্গিতে। তেমনই দুই শ্রদ্ধেয় গুণী মানুষ অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী ও ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আনিসুল হক। দুর্ভাগ্য, তাঁদের কেউই আর এখন আমাদের মাঝে নেই। প্রথম আলোর ২৫ বছর পূর্তিতে সেই দুজনের জীবনযাপনের অংশবিশেষ আবার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
অভিজাত কবরী
‘অধুনা’র স্টাইল বিভাগে একবার নিজেকে মেলে ধরেছিলেন বাংলা সিনেমার মিষ্টি মেয়ে কবরী। সেখানে জানিয়েছিলেন পত্রিকা পড়তে পড়তেই সকালের নাশতা সারেন। শাড়ি ছিল কবরীর প্রিয় পোশাক; বিশেষ করে সোনালি, চাপা সাদা (অফ হোয়াইট) রঙের সিল্ক শাড়ি।
সাধারণত হালকা গয়না পছন্দ করতেন, তবে পার্টি থাকলে ভারী গয়না পরতে হতো। নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত হাঁটা আর বিভিন্ন রকম ব্যায়াম, সুষম ডায়েট করতেন। ব্র্যান্ডের পণ্যের প্রতি বিশেষ দুর্বলতা ছিল। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন।
বই পড়ে আর সিনেমা দেখে সময় কাটত। কোনো দেশে বেড়াতে গেলে সেখান থেকে সংগ্রহ করে আনতেন ঐতিহ্যবাহী জিনিস। সেকেলে জিনিসের প্রতি ছিল দুর্বলতা। বাইরে গেলে অল্প হলেও মেকআপ করে যেতেন।
স্মার্ট মেয়র
একসময়ের জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক, পরে আসেন রাজনীতিতে। সেখানেও দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন স্মার্ট ব্যক্তিত্ব আর ঢাকা উত্তরের মেয়র হিসেবে নেওয়া নানা রকম উদ্যোগের কারণে। জনপ্রিয় আর কর্মব্যস্ত এই ব্যক্তিও কথা বলেছিলেন নিজের দিনযাপন নিয়ে।
পাঞ্জাবি-পায়জামা আর টি-শার্টে স্বাচ্ছন্দ্য এই মেয়র ভালোবাসতেন নেভি ব্লু, কালো ও ঘিয়ে রং। একই রকম একাধিক পোশাক কিনতেন। মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার থেকে প্যান্ট কিনতেন, নিজের ফ্যাক্টরি থেকে বানিয়ে নিতেন পাঞ্জাবি। তবে দামি বা ব্র্যান্ডের প্রতি বিশেষ ঝোঁক ছিল না। নতুন ধরনের খাবার আগ্রহ নিয়ে খেলেও আনিসুল হক ছিলেন পুরোপুরি ভেতো বাঙালি। ডাল-ভাত ছিল পছন্দের খাবার।
পুরোনো দিনের বাংলা গান শুনতে ভালোবাসতেন। বেড়াতে পছন্দ করতেন ঐতিহাসিক জায়গাগুলোয়। সেই সাক্ষাৎকারে নিজের মনের অপূর্ণ একটি ইচ্ছার কথাও প্রকাশ করেছিলেন মেয়র, ‘আমার একটা ব্যক্তিগত সফরে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। কোনো কাজ থাকবে না, শুধু ঘুরব। পরিবার নিয়ে সেভাবে ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তিন ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে কেবলই বেড়ানোর উদ্দেশ্যে কোথাও যেতে চাই।’ সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল কি না, সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
বিস্তারিত পড়ুন নিচের লিংকে