গরমে আরাম পাবেন পালাজ্জোতে
ঘুরেফিরে পুরোনো কাটছাঁটই কিছুটা ভিন্ন রূপে ফিরে আসে বারবার। সত্তর-আশির দশকের বেলবটম প্যান্টের কথা মনে আছে? নব্বইয়ের দশকের ডিভাইডার প্যান্ট তো আদতে সেই আদলেরই কিছুটা অন্য রূপ। বলছিলাম পালাজ্জোর কথা। গরমে এখন এটি পরেই আরাম পাবেন। স্টাইলেও যোগ করতে পারবেন নতুন আমেজ। সোজা বা এ কাটের লম্বা কামিজ, হল্টারনেক টপ, হাতকাটা ফতুয়া, সোজা বা ওভাল কাটের কুর্তা, অ্যাবস্ট্রাক্ট কাটের ফতুয়া পালাজ্জোর সঙ্গে ভালো মানাবে।
এ দেশে পালাজ্জোর আগমন যখন নতুন ছিল, ফ্যাশন ডিজাইনার মাহিন খান বলেছিলেন, ‘চারপাশের দেশগুলো আমাদের দেশের ফ্যাশনকে প্রভাবিত করে। পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশের পোশাকের কাট ও ছাঁট আমাদের দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলে কিছুটা পাল্টে যায়, ঘটে ফ্যাশনের রূপান্তর।’
পাশ্চাত্যে প্রথম দিকে খাটো আঁটসাঁট টপের সঙ্গে পরা হতো পালাজ্জো। আর আমাদের দেশে পালাজ্জোর সঙ্গী ছিল লম্বা কামিজ বা ফতুয়া। তবে এখন এখানেও খাটো টপের সঙ্গে পালাজ্জো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দু-তিন ধরনের কাট অনুসরণ করে পালাজ্জো বানানো হয়। জিনসের প্যান্টেও পালাজ্জোর কাট চলে এসেছে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত সমানভাবে ঢোলা কাট অথবা ওপর থেকে নিচের দিকটা আস্তে আস্তে প্রশস্ত হতে থাকে। পালাজ্জোর একদম ওপরে ফিতা দিয়ে বো টাই করে রাখা বা বড় বোতামের ব্যবহার করে ভিন্নতা আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্যান্টের এ নকশা দেখানোর জন্য অনেকেই আবার টি-শার্ট গুঁজে দিচ্ছেন প্যান্টের ভেতর। অথবা বেছে নিচ্ছেন ক্রপ টপ।