বিশ্ব যেভাবে শাড়ির প্রেমে পড়ল

ভারত, বাংলাদেশের তরুণীরা যখন ঝুটঝামেলা এড়াতে চটপট পরে ফেলছেন জিনস টপ, তখন পশ্চিমা তরুণীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিচ্ছে শাড়ি। গত এক যুগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্যাশন ইভেন্টগুলোতে চোখ রাখলেই তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ‘হাউ দ্য ওয়ার্ল্ড ফেল ফর শাড়ি’ শিরোনামে সিএনএনের বিশেষ প্রতিবেদনে যুক্তি, তর্ক, বিশ্লেষণে সেই বিষয়টি উঠে এসেছে।

বিশ্ব ফ্যাশনে শাড়ির কদর এখন রমরমা। এপ্রিলে নীতা-মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক ছাদের নিচে জমায়েত হয়েছিলেন বিশ্ব বিনোদন মঞ্চের সব তারা। সেটা হয়ে উঠেছিল ‘ভারতের মেট গালা’। সেখানেই চুমকি দিয়ে হাতে এমব্রয়ডারি করা ময়ূরকণ্ঠী নীল শাড়ি পরে সব আলো নিজের দিকে টেনে নেন হলিউড তারকা জেন্ডায়া। শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় দেড় বছর। কয়েক শ বুননশিল্পীর তিন হাজার ঘণ্টা পরিশ্রমে তৈরি হয়েছিল শাড়িটি। ডিজাইন করেছিলেন লাক্সারি ফ্যাশন ডিজাইনার রাহুল মিশ্র।

নীল শাড়িতে ফ্যাশন আইকন জেন্ডায়া, শাড়িটির আঁচলের ডিজাইনটা অনেকটা গাউনের মতো
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
শাড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় দেড় বছর
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

২০২২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসব ভারতের ফ্যাশন ইতিহাসের আনন্দময়, ঝলমলে এক অধ্যায়। সে বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবের লালগালিচার হাইলাইটস হয়ে থাকবে দীপিকা পাড়ুকোনের দুটো শাড়ি। প্রথমটি কালো আর গোল্ডেনরঙা চকমকে একটা শাড়ি। ডিজাইন করেছেন ভারতীয় বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচী চক্রবর্তী। শাড়িটিকে অনেক ফ্যাশন সমালোচক সে বছরের কানের লালগালিচার সেরা দশ পোশাকের একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর দীপিকা যেভাবে নিজস্ব স্টাইল দিয়ে ক্যারি করেছেন সেটিকে কানের সেরা কয়েকটা ফ্যাশনেবল হাজিরার একটি হিসেবে ধরেছেন।

শাড়িটিকে অনেক ফ্যাশন সমালোচক সে বছরের কানের লালগালিচার সেরা দশ পোশাকের একটি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
ভারত আর বাংলাদেশে এই শাড়িটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কালো শাড়িটি দীপিকা পরেছিলেন প্রথম দিন। আর সাদা রাফলের যে শাড়িটি দিয়ে দীপিকা তাঁর কান-লুকের ইতি টেনেছেন, সেটিও ব্যাপক সাড়া ফেলে, বিশেষ করে ভারত আর বাংলাদেশে। ইনস্টাগ্রাম আর টিকটকে দীপিকার সেই লুক রিক্রিয়েট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সাররা। আবু জানি-দীপক খোসলা ডিজাইনার জুটির নকশা করা সেই শাড়ির শত শত রেপ্লিকা তৈরি হয়েছে। দীপিকার সেই শাড়ির ছবি দেখালে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতেও রেপ্লিকা পাওয়া যেত।

২০২৩ সালের মে মাসে জনপ্রিয় ব্রিটিশ মডেল নাওমি ক্যাম্পবেলের পরনে দেখা যায় গোলাপিরঙা একটি গাউন শাড়ি। মজার ব্যাপার হলো, শাড়িটি তৈরি করেছে ফরাসি লাক্সারি ফ্যাশন অ্যান্ড বিউটি কোম্পানি শ্যানেল। শ্যানেলে শাড়িও পাওয়া যায়? ভেবে যদি আপনার চোখ বড় হয়ে যায়, গুগলে একটা সার্চ দিন। গাউন কাটের শাড়ি পাওয়া যায় না, এমন লাক্সারি ফ্যাশন ব্র্যান্ড খুঁজে পাওয়া কঠিন!

গোলাপি শাড়িতে ৫৩ বছর বয়সী নাওমি ক্যাম্পবেল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে


কেবল মেট গালাতেই নয়, শাড়ি পৌঁছে গেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজকীয় আয়োজনেও। রাজা তৃতীয় চার্লসের মুকুট গ্রহণ ও রাজ্যাভিষেক উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতীয় ব্যবসায়ী ও ফ্যাশন আইকন নাতাশা পুনাওয়ালা। সেখানে তিনি যে পোশাকটি পরেছেন, সেটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। নাতাশা বারবেরির একটা বডিস্যুটের সঙ্গে পেঁচিয়েছিলেন ন্যুড শাড়ি। শাড়ির আঁচলের অংশটুকু এমনভাবে পরেছিলেন, দেখে মনে হবে রাজকীয় হ্যাট।

ফ্যাশন দুনিয়ায় ঝড় তোলা নাতাশা পুনাওয়ালার সেই শাড়ি পরার স্টাইলটা আপনার কাছে অদ্ভুত বলে মনে হতেই পারে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

সাম্প্রতিক এই সব ঘটনার পর আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে চলছে শাড়িবন্দনা। কেন? কেননা, লন্ডনের দ্য ডিজাইন মিউজিয়ামে চলছে একটা প্রদর্শনী। সেখানে শাড়ির বিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে যশোরের মেয়ে, ঠাকুরবাড়ির বউ জ্ঞানদানন্দিনীর শাড়ি পরা ছবি থেকে শুরু করে দীপিকা পাড়ুকোনের শাড়িতে কান লুক—সবই আছে। প্রদর্শনীটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য অফবিট শাড়ি’। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানে কীভাবে শাড়ি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে বেঁধে রাখছে এক সুতোয়, কীভাবে সম্পর্ক স্থানান্তরিত হচ্ছে শাড়ির সূত্রে, শাড়ি কীভাবে হয়ে উঠল নারীর ক্ষমতায়ন আর প্রতিবাদের প্রতীক—উঠে এসেছে এই সব বিষয়। এখন ‘হাউ টু’ দিয়ে খোঁজা হয় শাড়ি পরার কায়দাকানুন। আবার সময়-শ্রম বাঁচাতে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ‘রেডি টু ওয়্যার’ শাড়িও, সেটিও বাদ যায়নি আলোচনায়।

শাড়ি আরও হয়ে উঠেছে সাহস, আত্মবিশ্বাস আর প্রাথাবিরোধিতার অনুসঙ্গ
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

দ্য ডিজাইন মিউজিয়ামে শাড়ির বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বলা হয়, ভারতে যা কিছু গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি হয়, তার ভেতর প্রথম দিকেই রয়েছে শাড়ি। শাড়ির বিশেষত্ব এর সর্বজনীন গ্রহণযোগ্যতায়। সব শ্রেণি-পেশার নারী শাড়ি পরেন। আবার মনে করুন, অনেক বয়স্ক একজন দাদির শাড়িও আগ্রহ করে পরতে পারেন তাঁর নাতনি। আবার একজন হ্যাংলা পাতলা নারীর শাড়ি ধার নিয়ে দিব্যি পরতে পাড়েন তাঁর প্লাস সাইজড বেস্ট ফ্রেন্ড।

এই শাড়ি পরে একজন নারী যেমন রাস্তা ঝাড়ু দিতে পারেন, তেমনি আবার কোনো পার্টিতেও স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণ করতে পারেন—সবখানেই শাড়ির রয়েছে নিজস্ব গ্রহণযোগ্যতা। ৩০০ টাকায়ও শাড়ি পাওয়া যায়, আবার ১ লাখ ডলার বা ১ কোটি ১০ লাখ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে শাড়ি। সবচেয়ে দামি শাড়িটির ওজন ১৮ পাউন্ড বা প্রায় আট কেজি। কোনো মেশিনের স্পর্শ ছাড়াই ৪ হাজার ৬৭০ ঘণ্টা ধরে হাতে কাজ করে এটি বানানো হয়েছে। শাড়িটিতে ব্যবহার করা হয়েছে মহামূল্যবান সব পাথর।

শাড়ি ছাড়া অসম্পূর্ণ বিশ্বের বড় বড় ফ্যাশন আসরের লালগালিচা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

মিউজিয়ামটির এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন রাহুল মিশ্র, সব্যসাচী মুখার্জি, অমিত আগারওয়ালসহ আন্তর্জাতিক একঝাঁক ভারতীয় ডিজাইনার। এই ডিজাইনারদের আলোচনায় উঠে এসেছে, কীভাবে শাড়ি নারী ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হয়ে উঠল। উত্তর ভারতের গুলাবী গ্যাংদের নিয়ে চলেছে একটি বিশেষ সেশন। এসব নারী গার্হস্থ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে এক হয়ে আওয়াজ তুলতেন, প্রতিবাদে লাঠি হাতে রাস্তায় নামতেন গোলাপি রঙের শাড়ি পরে।

গোলাপি শাড়ি হয়ে উঠেছিল প্রতিবাদের প্রতীক
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

তরুণদের সেনসেশন, জেন জির প্রতিনিধি এষণা কুট্টি শাড়ি পরেই করেন হুলা-হুপিং। তাঁর স্টাইলিংয়ে শাড়ির সঙ্গে কেডসও মানিয়ে যায় দিব্যি। আরেক ইনস্টাগ্রাম সেনসেশন উরফি জাভেদের কাস্টমাইজড স্টাইলের শাড়ি ক্রমে শাড়ির স্টাইলিংয়ের সীমানা বড় করছে। এদিকে রিমঝিম দাদুর মতো ডিজাইনাররা শাড়ির টেক্সচারে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রেও দিয়েছেন বড়সড় ধাক্কা। তাই এখন বাজারে মেটালিক শাড়ি, উলের শাড়ি, ডেনিমের শাড়ি ও চুমকি, পাথর, মুক্তা গেঁথে তৈরি শাড়ি—সবই পাবেন সার্চ দিলেই।


প্রিয়া খানচান্দানি ডিজাইন মিউজিয়ামের প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বলেন, ‘শাড়ির ঐতিহ্য পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো। তবে এই শতকে শাড়ি নিয়ে যতটা এক্সপেরিমেন্ট আর ইনোভেশন হয়েছে, সেটা অতীতে আর কখনো হয়নি। শাড়ি আরও অনেক বড় উদ্‌যাপন দাবি করে। এই আয়োজন সেই বিপ্লবের শুরু মাত্র। ফ্যাশনের ইতিহাসে শাড়ির আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। বিশ্বের অনেক ফ্যাশনিস্তা আর স্টাইলিশেরা মনে করেন, শাড়িতে নারীর সৌন্দর্য যত চমৎকারভাবে ফুটে ওঠে, আর খুব কম পোশাকে ততটা পাওয়া যায়।

শাড়ির দৈর্ঘ্য দেখানো হচ্ছে এই ফটোশুটে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

ম্যাডোনা, লেডি গাগা, ডুয়া লিপা থেকে শুরু করে বিশ্ব বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির এমন কোনো ফ্যাশন আইকন নেই, যাঁর পরনে শাড়ি ওঠেনি। ম্যাডোনা ১৯৯৮ সালে ভোগ ফ্যাশন অ্যাওয়ার্ডে শাড়ি পরেন, লেডি গাগা ভারতীয় ডিজাইনার তরুণ তাহিলিয়ানির ডিজাইন করা শাড়ি পরেন ২০১১ সালে (শাড়িটিও প্রদর্শনীতে ঠাঁই পেয়েছে), ডুয়া লিপা ২০১৮ সালে ভারতের জয়পুরে ছুটি কাটাতে এসে পরেছিলেন শাড়ি। মূলত নব্বইয়ের দশক থেকেই শাড়ি পশ্চিমাদের জমকালো ফ্যাশন আয়োজনে অংশ নেওয়া শুরু করে।

দ্বিতীয় আর পঞ্চম শাড়ি দুটো দীপিকার কান চলচ্চিত্র উৎসবের
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

নিউইয়র্কের রাস্তায়ও ভারতীয় বা বাংলাদেশিরা ছাড়াও হরহামেশা পশ্চিমা নারীদের পরনে শাড়ি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যাঁদের মাধ্যমে পশ্চিমা মিডিয়ায় শাড়ি জনপ্রিয় হয়েছে, তাঁদেরই একজন মার্কিন সংগীতশিল্পী গোয়েন স্টেফানি। স্টেফানির পরনে একাধিকবার উঠেছে অমিত আগারওয়ালের ডিজাইন করা শাড়ি।

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত আগারওয়াল বলেন, ‘আমাদের শাড়িকে বিশ্বমঞ্চে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে একেবারে শুরুতে যাঁরা সাহসী ভূমিকা নিয়েছেন, তাঁদেরই একজন স্টেফানি। স্টেফানিকে শাড়িতে দেখে যে কী ভালো লেগেছে! চোখ, মন সবই তৃপ্ত হয়েছে। শাড়িকে আন্তর্জাতিক মহলে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি বরাবরই নিজের মেধা, পরিশ্রম আর ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করি। যে মানুষ আরেকটা সংস্কৃতির উপাদানকে যেভাবে আপন করে নিচ্ছে, এটা দুর্দান্ত একটা ব্যাপার। শাড়ির এই বিশ্বায়ন সীমান্তের ধারণাকে সংকুচিত করে, বিশ্বকে আরও কাছাকাছি এনে দেয়।’

আমাদের যশোরের মেয়ে জ্ঞানদানন্দিনীকেও প্রদর্শনীতে স্মরণ করা হয়েছে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

নৃবিজ্ঞানী ডা. ফিলিডা জে ‘ইন্সপায়ার্ড বাই ইন্ডিয়া’ নামে বেস্টসেলার বইয়ের লেখক। শাড়ির ইতিহাস আর বিবর্তন কীভাবে নারীর জীবনের সঙ্গে জুড়ে এখন বিশ্ব ফ্যাশনের অংশ, সেখানে এটি উঠে এসেছে। এই লেখক ই-মেইলের মাধ্যমে সিএনএনকে জানান, কেবল ভারতীয় ডিজাইনাররাই নন, মার্কিন, ফরাসি, ইতালি—যেসব জায়গায় ফ্যাশনের বিপ্লব ঘটেছে, সবাই শাড়ির নকশা করছেন।

গাউন শাড়ি তো ফ্যাশনের নতুন ‘টক অব দ্য টাউন’। লন্ডনে যাঁরা লাক্সারি ফ্যাশনের সঙ্গে পরিচিত, মে ফেয়ার তাঁদের কাছে পরিচিত নাম। সেখানে ৫০ জন ভারতীয় ডিজাইনারের শাড়ি স্থান পেয়েছে। তাঁদেরই একজন অভিষেক আগারওয়াল বলেন, ‘শাড়ির যে অবয়ব, যে আবেদন, সেটা আন্তর্জাতিক, সর্বজনীন। তাই কাঁটাতার, সংস্কৃতি বা শ্রেণির দোহাই দিয়ে শাড়িকে সরিয়ে রাখা যাবে না।’

ঢাকা, কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লির রাস্তাই হোক বা নিউইয়র্ক, কানের রেড কার্পেট অথবা প্যারিস ফ্যাশন উইকের মতো ঝাঁ-চকচকে ইভেন্টের ক্যাটওয়াক-রহস্যময় আর আকর্ষণীয় ফ্যাশন অনুষঙ্গ শাড়ি ছাড়া এখন আর ভাবা যায় না। দিল্লির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার গৌরব জয়গুপ্তার মতে, সারা বিশ্বের আরও নারীর পরনে যদি শাড়ি ওঠে, তাহলে বিশ্ব নাকি আরও ভালো দেখাবে!
তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ হয় কি না, সেটার জবাব তোলা থাকল সময়ের কাছে।


সূত্র: সিএনএন