আপনি কি সৃজনশীল মানুষ? তাহলে দিনটি আপনার জন্য
শুধু কি শিল্পীরই আছে শিল্পের চোখ কিংবা শিল্পসৃষ্টির অধিকার? একদমই নয়। প্রত্যেক মানুষই আসলে শিল্পী। নাচ-গান-আঁকাআঁকি কিংবা লেখালেখি প্রভৃতিই শুধু শিল্প-প্রচলিত ধারণার এই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসুন। দেখবেন, মানুষমাত্রই তার নিজস্ব জগতে সৃজনশীল। রবীন্দ্রনাথের সেই পঙ্ক্তির মতো, ‘আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে।’
সংগীতের স্বরলিপি, নাচের মুদ্রা, রঙের তুলি বা কলমের ডগায় সৃজনশীলতা থাকে না। থাকে মানুষের মস্তিষ্কে। ফলে মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মানুষেরই কোনো না কোনো ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা আছে। আমেরিকান শিল্পী, ডিজাইনার ও লেখক করিটা কেন্ট শিল্প বা সৃজনশীলতার ধারণাটিকে আরও সহজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সবার ভেতরেই সৃজনশীলতা বাস করে। ক্রিয়েট শব্দের অর্থ নতুন কিছু সৃষ্টি করা, যুক্ত করা। আর্ট শব্দের প্রকৃত অর্থ “খাপ খাওয়ানো”; যা আমরা প্রতিনিয়তই করে চলেছি।’
দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে আমরা কত কিছু করে থাকি। হামেশাই ভাঙছি, গড়ছি। নতুন নতুনভাবে আবিষ্কার করছি নিজেদের। সৃজনশীল না হলে এই ক্রমাগত রূপান্তর সম্ভব নয়। প্রকারান্তরে সম্ভব নয় মানুষের টিকে থাকা।
যা কিছু সুন্দর, রুচিশীল, নান্দনিক তাই সৃজনশীলতা। ঘরসজ্জা, রান্না, প্রাণী বা পাখি পালন, সেলাই, বাগান করা—সৃজনশীলতা কোথায় নেই! সহজ ও স্বপ্নময় জীবনের জন্য সৃজনশীল জীবনধারার বিকল্প নেই।
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর, সৃজনশীল জীবনযাপন দিবস। ২০১৬ সালে ‘ক্রিয়েটিভ প্রমোশনাল প্রোডাক্টস’ নামের যুক্তরাষ্ট্রের একটি সৃজনশীল পণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান দিনটি চালু করে। দারুণ এই দিবস পালন করতে পারেন আপনিও। সৃজনশীলতা মানেই তো কোনো বিষয়কে প্রচলিত দৃষ্টিকোণের বাইরে চিন্তা করা। ফলে সৃজনশীল জীবনযাপনের জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে ভাবা অনুশীলন করুন। নিজের দৈনন্দিন কাজকর্মে রাখুন স্বতন্ত্র সৃজনশীলতার ছাপ।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে