হাতিল কিচেন কেবিনে অভিনয়শিল্পী নাবিলা ও ব্যাংকার রিম দম্পতি
‘সুন্দর কিচেনে রান্না করলে মনটাও ফুরফুরে থাকে’
রান্না একধরনের শিল্প। তাই মনটাও হওয়া চাই শৈল্পিক। রান্না করার সময় মন ভালো রাখতে রান্নাঘরের পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। রান্নাঘর সুন্দর ও গোছালো হলে মন এমনিতেই ভালো থাকে। তখন রান্নাটাও হয় উপভোগ্য ও মজাদার। এমনই মন ভালো করা একটি রান্নাঘরে অভিনয়শিল্পী মাসুমা রহমান নাবিলা ও তাঁর স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা জোবাইদুল হক রিম তৈরি করেছেন তাঁদের পছন্দের ‘চিকেন ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস’।
‘হাতিল কিচেন কেবিন’ নামক এই অনুষ্ঠানে রান্না আর গল্প চলেছে একসঙ্গে। অনুষ্ঠানটি একযোগে প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।
প্রথমবারের মতো নাবিলা ও তাঁর স্বামী রিমকে একসঙ্গে অনুষ্ঠানে পেয়ে খুবই উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক নীল হুরেজাহান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই নীল জানতে চান, ‘কিচেনটা কেমন লাগছে?’
সন্তুষ্টিমূলক হাসির অভিব্যক্তিতেই দুজন বুঝিয়ে দেন যে কিচেনটি তাঁদের খুব পছন্দ হয়েছে। নাবিলা বলেন, ‘বাসায় আমাকে অনেকটা সময় কিচেনে থাকতে হয়। তাই আমি চাই, কিচেনটা হোক সুন্দর ও পরিপাটি। কারণ, সুন্দর কিচেনে রান্না করলে মনটাও ফুরফুরে থাকে।’
‘কিচেনে তুলনামূলক কার বেশি থাকা হয়? নিশ্চয়ই নাবিলা…’ এমন প্রশ্নের উত্তরে রিম বলেন, ‘তা তো বটেই। তবে বিশেষ কোনো উপলক্ষ বা ছুটির দিনগুলোতে আমিও কিচেনে যাই। কোনো ডিশ পছন্দ হলে মাঝেমধ্যে রান্নার ট্রাই করি। এ ছাড়া সুযোগ পেলে ডেজার্ট বানাই।’
তো, হাতিল কিচেন কেবিনে আজ কী রান্না হবে? রেসিপির নামটা শুনেই জোবাইদুল হক রিম উচ্ছ্বাসের সঙ্গে অপেক্ষা করতে থাকেন। কারণ সারা দিনের অফিস শেষে ক্ষুধার্ত তিনি। তাই দেরি না করে শুরু হয় রান্নাবান্না। সঙ্গে চলতে থাকে গল্প। জানা গেল, নাবিলার যখন যেটা ইচ্ছা হয়, সেটাই তিনি রান্না করেন।
নীল হুরেজাহানের প্রশ্নের উত্তরে রিম জানান, তিনি ফ্রাইড চিকেন, চিকেন গ্রিল, কেক বানাতে পারেন।
নাবিলার হাতে তৈরি কোন খাবার পছন্দ? উত্তরে রিম বলেন, ‘ওর রান্না করা পোলাও আর পাস্তা আমার খুব পছন্দ। দারুণ স্বাদের হয়।’
চিকেন ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস রান্নায় ব্যস্ত নীল। তাঁকে সহযোগিতা করেন অতিথি দুজন। এর ফাঁকে নাবিলা তাঁর স্বামীকে বলেন, ‘তুমি রেসিপিটা দেখে নাও। তাহলে বাসায় রান্না করে খাওয়াতে পারবে। কারণ, তুমি এবারই প্রথম কারও রান্না লাইভ দেখছ।’
এরপর নাবিলা জানতে চান, নীল কী কী রান্না করতে পছন্দ করেন?
উত্তরে নীল বলেন, ‘সঁতে ভেজিটেবল আর ফিস কাটলেট—এই দুটো উপকরণ আমি খেতেও ভালোবাসি, রান্না করাটাও উপভোগ করি।’
এর মধ্যেই রান্নাবান্না শেষ হয়। ক্যাবিনেট থেকে সার্ভিং ডিশটি আনতে আনতে নীল বলেন, কেউ চাইলে পুরো রান্নাঘরই হাতিলের ফার্নিচার দিয়ে সাজাতে পারেন। কারণ, হাতিল এখন রান্নাঘরের সব উপকরণই বিক্রি করছে। হাতিল কিচেন ক্যাবিনেটে প্রয়োজনীয় সবকিছু একসঙ্গে রাখা যায়। এর ফলে ঘর থাকবে আরও সুন্দর ও পরিপাটি।
শুরু হয় খাওয়ার পর্ব। চলতে থাকে আড্ডাও। আড্ডার ফাঁকে নীল বলেন, ‘রিম, আপনি পেশায় ব্যাংকার কিন্তু তারকা বউয়ের কারণে ক্যামেরার সামনে আসা হয়। কেমন লাগে তখন?’
মুচকি হাসেন রিম, ‘খুব বেশি আসার সুযোগ হয় না। যেসব জায়গার আমন্ত্রণে সময় করতে পারি এবং পরিচিত মানুষ থাকে, সেখানেই বেশি যাওয়া হয়।’
কোনো কথা না বলে নীরবে মাথা নেড়ে রিমের কথায় সায় দেন নাবিলা। কারণ, তখন তিনি সদ্য তৈরি করা চিকেন ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইসের স্বাদ আস্বাদনে ব্যস্ত!