১০২ বছর বয়সে যেভাবে ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রবীণ স্পিটফায়ার পাইলট
১০২ বছর বয়সে হেরিটেজ হ্যাঙ্গারের একটি স্পিটফায়ার বিমান নিয়ে আকাশে উড়ে রেকর্ড গড়লেন জ্যাক হ্যামিংস। অর্জন করলেন ব্রিটেনের সবচেয়ে প্রবীণ স্পিটফায়ার পাইলট হওয়ার স্বীকৃতি। রয়্যাল এয়ারফোর্সে (আরএএফ) যোগ দেওয়ার প্রায় ৮০ বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি বিশেষ বিমান নিয়ে আকাশে ওড়েন এই সাবেক স্কোয়াড্রন লিডার।
মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ই সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা পায় স্পিটফায়ার। এক আসনের এই ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান আরএএফ যোগ করে আভিজাত্য। শতাধিক বছরের একজন পাইলট যখন সেটি নিয়ে আকাশে সফলভাবে তিন চক্কর দিলেন, সবাই অভিভূত হলেন। জ্যাক কেন্টের একটি এয়ার ফিল্ড থেকে সহপাইলট ব্যারি হুগোর সঙ্গে ককপিটে ওঠেন জ্যাক হ্যামিংস। বিমান নিয়ে ২০ মিনিট আকাশে ছিলেন তিনি। এই বয়সে আকাশে ওড়ার অভিজ্ঞতাকে চূড়ান্ত আনন্দদায়ক বলে অভিহিত করেছেন জ্যাক হ্যামিংস। জ্যাক বলেন, ‘কাজের জন্য বয়স কোনো বাধা হতে পারে না। তাই নিজের বয়স নিয়ে না ভেবে প্রতিটি দিন সবার নতুন উদ্যমে শুরু করা উচিত। অতীত নয়, বরং বর্তমান মুহূর্তগুলোই প্রকৃত অর্থে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এই ঐতিহাসিক ফ্লাইটের লক্ষ্য ছিল মিশন এভিয়েশন ফেলোশিপ (এমএএফ) সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং তহবিল সংগ্রহ। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক বিমান পরিষেবার এই দাতব্য সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্টুয়ার্ট কিং। যিনি ২০২০ সালে মারা গেছেন। এই ফ্লাইটের মাধ্যমে তাকেও সম্মান জানানো হয়। প্রতি চার মিনিটে একটি করে ফ্লাইটের মাধ্যমে বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে সাহায্য পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করে এমএএফ।
১৯৪১ সালে আরএএফে যোগদান করেন জ্যাক হ্যামিংস। পেশাগত জীবনে ‘দ্য এয়ার ফোর্স ক্রস ফর এক্সামপ্লারি গ্যালান্ট্রি’ পদক এবং আরএএফ মাস্টার এয়ার পাইলট পদক জেতেন। ১৯৪৭ সালে তিনি মাইল্ড মে মুভমেন্ট নামের বিমান পরিষেবার সদস্য হন। এটিই পরে এমএএফ নাম ধারণ করে।
পেশাগত জীবনের শুরুর দিকে একবার বিমান নিয়ে বুরান্ডির এক পাহাড়ে আছড়ে পড়েছিলেন জ্যাক হ্যামিংস। হাতের আঙুল ভাঙা আর একটু আধটু ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া সেবার অক্ষতই ছিলেন। জ্যাক মজা করে জানান, এই ঘটনার পর তাকে ক্রাশার জ্যাক নামে ডাকা হতো।
সুত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট