এই পাঁচ মুহূর্তে কী করবেন
নতুন নতুন কেস স্টাডি, গবেষণা আর জরিপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ হচ্ছে মনোবিজ্ঞান। সামনে আসছে মজার মজার নতুন তথ্য। দ্য সাইকোলজি স্কয়ার অনুসারে সে রকমই কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো—
১. যখন আপনার কাউকেই ভালো লাগছে না
এমন কিছু মুহূর্তও জীবনে আসে, যখন কাউকেই ভালো লাগে না। তখন কী করবেন? নিজেকে মজার খাবার ‘ট্রিট’ দেবেন। কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে খেতে যাবেন। কথায় বলে, পৃথিবীর বেশির ভাগ সমস্যাই ভালো খাবারের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। এ কারণেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংগুলোতে ভালো খাবারের আয়োজন রাখা হয়। নিজেকে ভালো করে খাওয়ান। সময় নিন। মানুষকেও ভালো লাগতে শুরু করবে।
২. যখন মনে হচ্ছে, কেউ আপনাকে পছন্দ করে না
যখন এরকম মনে হবে, ঘুমান। ঘুম হলো সবকিছু থেকে নিজেকে সুন্দরভাবে সরিয়ে রাখার সবচেয়ে ভালো উপায়। একটা মানুষকে শারীরিক আর মানসিকভাবে সারিয়ে তোলার জন্য ঘুমের কোনো বিকল্প নেই।
৩. যখন নিজেকেই নিজের কাছে অসহ্য লাগছে
এ রকমও হয়। নিজেকেই নিজের ভালো লাগে না। এমন সময়ে আপনি কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না। নিজেকে সামলে নেবেন। নিজেকেই নিজের ভালো না লাগলে সময় নিয়ে স্নান করুন। এরপর হালকা রঙের পোশাক পরুন। একটা ‘পারফেক্ট’ চা বা কফি খান। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান।
৪. যখন কোনো কাজে উদ্যম পাচ্ছেন না
হেঁটে আসুন। অনেকটা পথ হেঁটে আসুন বা সাঁতার কাটুন। এরপর উদ্যম নিয়ে যে কোনো কাজে ঝাঁপিয়ে পড়া যায়। এ জন্যই অনেকে সারা দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন ভোরবেলা হেঁটে অথবা পুলে ‘মর্নিং শাওয়ার’ নিয়ে।
৫. অতীত বা কোনো একটা ঘটনা, যেটা আপনি ভুলে যেতে বা আগ্রাহ্য করতে চাচ্ছেন, কিন্তু পারছেন না
ভালো একটা সিনেমা বা সিরিজ দেখতে বসুন। অথবা বইয়ের পাতায় ডুব দিন। আপনার মনোযোগটা অন্য কিছুতে সরিয়ে নিন। বই পড়া, সিনেমা দেখাও একধরনের ভ্রমণ। অনেক সময় সত্যিকারের ভ্রমণ থেকেও বেশি রোমাঞ্চকর আর আনন্দদায়ক। এরপর বর্তমানে ফোকাস করুন। ছোট ছোট লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে এগিয়ে যান। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করুন।
সূত্র: দ্য সাইকোলজি স্কয়ার