বলিউডের উজ্জ্বল নক্ষত্র তামান্না ভাটিয়া। ছোট পর্দায় ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে সিনেমাজগতে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। ১৩ বছর বয়স থেকে কর্মজীবন শুরু করেন এবং স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে একটি মূল চরিত্র করেন, যা তাঁকে পরিচিতি দেয়। পরবর্তী সময়ে মুম্বাইয়ের থিয়েটারে এক বছর কাজ করেন।
২০০৫ সালের ইন্ডিয়ান আইডল বিজয়ী অভিজিৎ সাওয়ান্তের ‘আপকা অভিজিৎ’ অ্যালবামের ‘লাফজো মে’ গানের মাধ্যমে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সুনয়না এই অভিনেত্রী বলিউডে পা রাখতেই সাড়া পড়ে যায় চারদিকে; চমৎকার ভঙ্গিমা আর কাজের প্রতি অনুরাগ ও নিয়মানুবর্তিতার কারণে তিনি মন জয় করেছেন সবার। এর জন্য প্রচুর সময় ও শ্রম দিয়েছেন তিনি। তবে হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি ডায়েট চার্টের ব্যাপারে বেশ সচেতন।
তামান্না মনে করেন, একজন অভিনয়শিল্পীর জন্য জীবনে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সারা দিনের কর্মব্যস্ততার পরও তাঁদের দর্শকের মনোরঞ্জন করতে হয়। তাই সৌন্দর্য ধরে রাখা ও নিজেকে ফিট রাখা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে বয়স, ওজন, শরীরের রোগব্যাধি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হবে এবং সে অনুযায়ী নিজের জন্য উপযুক্ত ডায়েট প্ল্যান নির্ধারণ করতে হবে। তাই তিনি নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রচুর পানি পান করে থাকেন।
এটি একদিকে যেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে, পাশাপাশি তাঁকে সারা দিন কর্মক্ষম ও সুন্দর থাকতে সাহায্য করে। এরপর নাশতায় তিনি যথাসম্ভব স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকেন। এ সময় তিনি গ্রানোলা, বাদামদুধ, খেজুর, কলা ও বেরি খেতে ভালোবাসেন। ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় তিনি ডিম আর প্রচুর তাজা শাকসবজি খেয়ে থাকেন। তিনি ভারতীয় খাবার খেতে খুবই পছন্দ করেন। তাই দুপুরের মেনুতে থাকে ভাত, ডাল, সবজি। পাওভাজিও তাঁর খুবই প্রিয়।
বিকেলে হালকা নাশতা করেন, তাতে থাকে সাধারণত বাদাম, নিউটেলা ও পনির। রাতে খাবারের মেনুতে ডিমের সঙ্গে সিদ্ধ বা গ্রিল্ড কিছু থাকতে হবে। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ডাল খেয়ে থাকেন। কখনো কখনো খান সালাদ। তবে রাতে তিনি ভাত যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি হৃৎপিণ্ডবান্ধব খাবার খেতে পছন্দ করেন। সাধারণত রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলেন। চিনি যতটা সম্ভব কম খাওয়া কিংবা পরিহার করার চেষ্টা করেন এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে থাকেন।
শরীর সুস্থ রাখার জন্য তিনি ব্যক্তিগত ট্রেনারের পরামর্শ গ্রহণ করে থাকেন। কারণ, তিনি মনে করেন, শরীরের অবস্থা ও চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত শরীরচর্চা করা খুবই জরুরি। সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রি হ্যান্ড ওয়ার্কআউট করে ভারসাম্য বজায় রাখাটা খুব জরুরি, যা তিনি সব সময় করে থাকেন। আর নিয়মমাফিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে। তাই তিনি প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি নিয়মিত ওয়ার্কআউট করতে ভোলেন না।
আর সকালের ওয়ার্কআউটের সঙ্গে তিনি রাতেও হালকা ব্যায়াম করে থাকেন। এ সময় তিনি হাঁটতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তিনি নিয়মিত জিম ও হালকা ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত রাখেন। তিনি মাঝেমধ্যে একটু নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজের পছন্দের খাবার খেয়ে থাকেন। তবে খুব বেশি নিয়ম ভঙ্গ করা তাঁর পছন্দ নয়। তাই কোনো বিশেষ দিনে ডায়েট চার্টে একটু অনিয়ম করে ফেললে পরবর্তী সময়ে নিয়ম করে ঘুম, খাওয়া ও শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে ফিট রাখেন।