এই হিম হিম শীতে এক কাপ গরম চা! শরীর তরতাজা করতে আর কী দরকার? কিন্তু জানেন কি, শরীর–মন তরতাজা করার পাশাপাশি ত্বক ও চুলকেও সুন্দর রাখে চা। চা–পাতা দিয়ে করা যায় সৌন্দর্যচর্চা। অবশ্য এতে চা–পাতার সঙ্গে অল্প কিছু বাড়তি উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করতে হয় প্যাক। সে রকম ঘরোয়া কিছু উপায় বাতলে দিলেন আয়ুর্বেদিক রূপ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা।
পরামর্শ
ব্রণের জন্য
গ্রিন টির পানি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
ত্বকের যত্নে
শীতের রোদে অনেক সময়ই ত্বকে কালো ছোপ পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ১ চা-চামচ গ্রিন টি পাতা, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ, ১ চিমটি হলুদগুঁড়া এবং গোলাপ জল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। মুখে ও হাতে-পায়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুলে কালচে দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।
গ্রিন টির পানি ও গোলাপজল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে মুখে তুলা দিয়ে লাগিয়ে ভালো মানের ক্রিম লাগালে ত্বক কোমল থাকবে।
বডি স্ক্রাবের জন্য গ্রিন টির পানি আধা কাপ, মধু, লেবুর রস ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে হাতে-পায়ে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। একটু পর হালকা গরম পানি দিয়ে মালিশ করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
বাজারে টি ট্রি অয়েলের ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত অথবা সংবেদনশীল, তাঁরা ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।
চোখের ফোলা ভাব দূর করতে
অনেক সময়ই ঘুম থেকে ওঠার পর চোখে ফোলা ফোলা ভাব থাকে। ২টি কালো চায়ের টি-ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে চোখের ওপর দিলে ফোলা ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
চুলের যত্নে:
১ কাপ গ্রিন টির পানি, ১টি লেবুর খোসা, ৩ থেকে ৪ টেবিল চামচ নারকেল তেল একটি পাত্রে গরম করে জ্বাল দিন। তেল ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দিন। শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিলে খুশকি কমে যাবে। এটি মাসে ৩ থেকে ৪ বার করতে পারলে ফলাফল ভালো আসবে।
বাজারে যেসব কন্ডিশনার পাওয়া যায়, সেগুলোর পরিবর্তে চা–পাতা দিয়েই ভালো মানের কন্ডিশনার তৈরি করা যায়। ২ কাপ গরম পানিতে ১ টেবিল চামচ কালো চা দিয়ে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে শ্যাম্পু করার পর চুলে লাগালে কন্ডিশনারের কাজ করবে।