বাড়ছে বয়স। মুখে পড়েছে তার ছাপ। সংসার, সন্তান আর ক্যারিয়ার সামলে নিজের প্রতি খেয়াল করার সময়টুকুই হয়তো থাকে না। তারপর হঠাৎ একদিন নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেন, কোথায় হারিয়ে গেছে লাবণ্য! এ রকম পরিস্থিতিতে নিজের পুরোনো রূপলাবণ্য ফিরে পাওয়ার আকুল বাসনায় কত কী-ই না করা হয়। আধুনিক এসব পদ্ধতির অনেকগুলোরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি রয়েছে। মুখের ত্বকের এ ধরনের সমস্যা সমাধানে প্রাচীন এক উপায়ের খোঁজ দিলেন হারমনি স্পা-র আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন এই পদ্ধতি সেই সপ্তম শতক থেকে ব্যবহার করে আসছে চীনারা।
নাম তার রোলার
মুখের ত্বককে টান টান করতে রোজ রাতে ঘুমানোর আগে পাঁচ মিনিট রোলার ব্যবহার করতে পারেন। রোলার হলো এক বিশেষ পাথর। মুখে ব্যবহারের উপযোগী ক্রিম বা তেল নিয়ে রোলারের সাহায্যে নিয়মমাফিক মালিশ করুন। বাড়তি মেদ ঝরে যাবে। ফিরে আসবে মুখের স্বাভাবিক আকৃতি। রোলার দিয়ে ম্যাসাজের ফলে ত্বকে রক্তসঞ্চালনও বাড়ে। দাগছোপ কমে যায়।
চোখের রোলার
চোখের নিচের অংশে ব্যবহারের জন্য রয়েছে বিশেষ ধরনের রোলার। চোখ খুবই সংবেদনশীল বলে এই অংশে ব্যবহারের জন্য বেছে নিতে হবে কলম আকৃতির বিশেষ রোলার। চোখের নিচের অংশে রোলার ব্যবহারে চেহারায় ফিরে আসে সতেজতা। কমে চোখের নিচের কালচে দাগ। চোখের নিচের অংশে রোলার ব্যবহার করার প্রয়োজন থাকলে মুখ ও চোখের নিচ মিলিয়ে মোট ৫ মিনিট সময় দিন।
কাদের জন্য রোলার?
যাঁরা মুখের মেদ, বয়সজনিত দাগছোপ কিংবা চিবুকের দ্বিতীয় স্তর (ডাবল চিন) নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা চীনের এই বিশেষ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। তবে ২০ বছর বয়সের নিচের কারও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত নয়। সাধারণত ২০ বছর হওয়ার আগে তেমন সমস্যা দেখাও যায় না। ২০ বছর বয়স পেরোনোর পর প্রয়োজন দেখা দিলে কেবল এই রোলার ব্যবহার করুন।
চাই বিশেষ মালিশও
রোলার ব্যবহার তো করবেনই, এ ছাড়া হাতের সাহায্যে আলাদাভাবে মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশে মালিশ করা প্রয়োজন, জানালেন রাহিমা সুলতানা। চোয়ালের রেখা থেকে কানের গোড়া পর্যন্ত এমন এক বিশেষ মালিশ করার দরকার হয়। তা ছাড়া ভ্রু থেকে ওপরের দিকে এবং গলার দিক থেকে ওপরের দিকে আলাদা আলাদাভাবে মালিশ করার গুরুত্বও অনেক। এসব মালিশ করতে অবশ্য আলাদা সময় দিতে হয়। প্রতিটির জন্য ৫ মিনিট করে বরাদ্দ রাখুন। রোলার এবং হাতের মালিশ—এই দুয়ের সমন্বয়েই হারিয়ে যাওয়া লাবণ্য ফিরে পাওয়া সম্ভব।