চুল সাজাতে কৃত্রিম বেণি

ছোট চুলকে লম্বা করতে কৃত্রিম বেণি ব্যবহার করেন অনেকেইমডেল: তাসনিয়া ফারিণ, ছবি: কবির হোসেন

চুলের আকার যেমনই হোক, ছোট্ট একটি কৃত্রিম বেণির সৃজনশীল ব্যবহারে আপনার ‘লুক’ হয়ে উঠতে পারে অনন্য।

দুই ধরনের উপকরণ দিয়ে তৈরি হয় কৃত্রিম বেণি। প্রাকৃতিক উপকরণ অর্থাৎ মানুষের চুল থেকে তৈরি হয় একধরনের কৃত্রিম বেণি। আর একধরনের বেণি সত্যিই ‘কৃত্রিম’, অর্থাৎ পুরোপুরি কৃত্রিম উপকরণ দিয়েই তৈরি হয় এই বেণি। তবে উপকরণ যেটিই হোক না কেন, কৃত্রিম বেণিরও কিন্তু যত্নআত্তি চাই। নইলে অল্প কয়েকবার ব্যবহারের পরই বেণিটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়তে পারে। কৃত্রিম বেণির ব্যবহারের এমন নানান দিক প্রসঙ্গে জানালেন সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র ‘পারসোনা’র পরিচালক নুজহাত খান।

বেণি যখন হেডব্যান্ড

হেডব্যান্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। নিজের ‘লুক’ বদলাতে কাজে লাগাতে পারেন এমন কৃত্রিম বেণি। চুল যত বড় বা যত ছোটই হোক না কেন, এই বেণি অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন।

খোঁপায় জড়ানো বেণি

যেকোনো ধরনের খোঁপার চারপাশেও জড়িয়ে নিতে পারেন কৃত্রিম বেণি। সাদামাটা হাতখোঁপার এমন রূপবদলে সাদাসিধে সাজেও আপনাকে দেখাবে আলাদা।

পনিটেইলেও বেণি

সাধারণ একটা পনিটেইলেই আপনি হয়তো স্বাচ্ছন্দ্য। পনিটেইল বাঁধার ব্যান্ডটি বরাবর আপনি জুড়ে নিতে পারেন ছোট আকারের একটি কৃত্রিম বেণি। সাজটাই বদলে যাবে।

চুল সাজাতে কৃত্রিম বেণির জনপ্রিয়তা বাড়ছে
মডেল: তাসনিয়া ফারিণ, ছবি: কবির হোসেন

আরও একটু ভিন্নতা

মাথার যেকোনো একটা পাশে কৃত্রিম বেণি নানানভাবেই জুড়ে নিতে পারেন। চুলের নানান রকম স্টাইলকে এভাবে ভিন্নতর রূপ দেওয়া যায়। চুল বাঁধার ধরন হতে পারে সাদাসিধে, কিন্তু ভিন্নভাবে আটকে নেওয়া বেণিতে সাজ হয়ে উঠবে অসাধারণ।

কৃত্রিম বেণির যত্নআত্তি

দুই ধরনের উপকরণের তৈরি কৃত্রিম বেণির যত্নআত্তিই প্রায় এক রকম। তবে খেয়াল রাখতে হবে, কৃত্রিম উপকরণে তৈরি বেণি দিয়ে এমন কোনো স্টাইল করা যাবে না, যাতে উত্তাপের প্রয়োজন হয়। নুজহাত খানের কাছ থেকেই জেনে নিন যত্নের বাদবাকি দিক।

‘আমাদের চুল আমরা যেভাবে রোজ পরিষ্কার করি, কৃত্রিম বেণি তো আর তেমনটা করা হচ্ছে না। তাই দু-তিন সপ্তাহ পরপর শ্যাম্পু দিয়ে বেণিটিকে পরিষ্কার করে ফেলুন। ঠান্ডা পানিতে শ্যাম্পু মিশিয়ে বেণিটি ধুয়ে ফেলার পর কন্ডিশনারও লাগাতে হবে। কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলার পর খুব ভালোভাবে বেণিটি শুকিয়ে ফেলতে হবে। ভেজা ভাব থেকে গেলে ছত্রাক জন্মানোর শঙ্কা থাকে। ফলে বেণিটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার ঝুঁকিও থাকে। শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ারের ঠান্ডা বাতাস কাজে লাগাতে পারেন। জট বেঁধে গেলে ডিট্যাংলিং স্প্রেও ব্যবহার করা যায়।

খোঁপাতেও ব্যবহার করা যায় কৃত্রিম বেণি
মডেল: মিথিলা, ছবি: নকশা

‘কৃত্রিম উপকরণের তৈরি বেণির ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। কৃত্রিম চুলে ব্যবহার করা যায়, এমন প্রসাধন কৃত্রিম বেণি পরিষ্কার ও জটমুক্ত রাখার জন্য বেছে নিতে হবে। এ ছাড়া কৃত্রিম চুলের উপযোগী চিরুনি ব্যবহার করাই ভালো।’

আরও যা জানা প্রয়োজন

বেণি উঠিয়ে রাখার জন্য বায়ুরোধী জিপলক ব্যাগ কাজে লাগাতে পারেন। একেকটি বেণির জন্য আলাদা জিপলক ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে। আর অবশ্যই শুকনা অবস্থায় রাখতে হবে। এভাবে সংরক্ষণ করা হলে বেণিগুলো ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।