ছেলেদেরও কেন ফেশিয়াল করা জরুরি
ফেশিয়ালের আগে কোন ফেশিয়ালটি ত্বকের ধরন ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই, সেটি নির্বাচন করতে হবে।
মেয়েদের মতো ছেলেদেরও ত্বক পরিষ্কার রাখাটা জরুরি। তবে পরিষ্কারের পদ্ধতি ও উপকরণ ছেলে-মেয়ে ভেদে কিছুটা আলাদা। কারণ উভয়ের ত্বকের ধরন ভিন্ন। পুরুষদের ত্বক সাধারণত একটু বেশি রুক্ষ ও তৈলাক্ত। এ কারণে তাদেরও নিয়মিত ফেশিয়াল করা প্রয়োজন। আর যাঁরা নিয়মিত শেভ করেন, ফেশিয়াল করলে তাঁদের শেভ করাও সহজ হয়ে যায়। ছেলেদের ক্ষেত্রে গ্রীষ্ম আর বর্ষার ভেদে ফেশিয়ালের ধরনে বড় কোনো পার্থক্য নেই।
কারণ, ছেলেরা দিনের অধিকাংশ সময়েই ঘরের বাইরে কাটান। এ সময় রোদের তাপে যেমন ত্বক পুড়ে যায়, তেমনই বৃষ্টির আর্দ্র বাতাসে ত্বকে জমে অতিরিক্ত ময়লা। সঙ্গে প্রতিদিনের ধুলাবালু আর দূষণ তো আছেই। এ কারণে ত্বকে খুব সহজেই চলে আসে রুক্ষতা। ত্বকের বিভিন্ন স্থানে বাড়তে থাকে ব্ল্যাকহেডস। যাঁদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত, তাঁদের দেখা দেয় ব্রণের সমস্যা। প্রতিদিনের ফেশিয়াল এ সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দেবে। ত্বকের ধরন ও সময় বুঝে নিতে হবে বিভিন্ন ধরনের ফেশিয়াল।
সাধারণ ক্লিনজিং
ত্বক থেকে প্রতিদিনের জমে থাকা ময়লা ও তেল পরিষ্কার করতে হবে নিয়মিত। ত্বকে যেকোনো ধরনের ফেশিয়াল করার আগে বা নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজিং খুবই জরুরি। এ কারণে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের ক্লিনজিং ক্রিম বেছে নিতে হবে।
এক্সফোলিয়েট
ছেলে-মেয়ে উভয়ের ত্বকই প্রাকৃতিকভাবে ৩০ দিন পরপর নতুন কোষ তৈরি করে। অর্থাৎ পুরোনো মৃত কোষগুলো মুখের ত্বকে জমতে থাকে। এই মৃত কোষগুলোকে তুলে ফেলা ভালো। সেটা যেকোনো ধরনের ত্বকই হোক না কেন। সাধারণ ক্লিনজিং বা ফেসওয়াশের চেয়ে স্ক্রাবার বা এক্সফোলিয়েটরে ত্বক অনেক বেশি পরিষ্কার হয়। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাশাপাশি অনেক দিন ধরে জমে থাকা মৃত কোষ সরানোর ফলে ত্বকের লোমকূপও আর বন্ধ থাকে না। ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। ত্বক সুস্থ থাকে। ত্বকের ধরনকে প্রাধান্য দিয়ে স্ক্রাব করার উপকরণ নির্বাচন করতে হবে।
হাইড্রোফেশিয়াল
হাইড্রোফেশিয়ালকে বলা হয় পূর্ণাঙ্গ ফেশিয়াল। কারণ, এ ধরনের ফেশিয়ালে ক্লিনজিং এবং মৃত কোষ ও লোমকূপের ময়লা অপসারণ একসঙ্গে করা হয়। সঙ্গে ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট প্রসাধন। বলা হয়, হাইড্রোফেশিয়াল ত্বকের পাঁচটি প্রধান সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ত্বককে করে কোমল ও মসৃণ।
সতর্কতা
অনেকেই মনে করেন, ফেশিয়াল করার আগে দাড়ি কেটে নিতে হবে। আবার অনেকেই মনে করেন, ব্রণ থাকা অবস্থায় ফেশিয়াল করা যাবে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফেশিয়াল করার আগে কোনো ধরনের পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। ব্রণ থাকা অবস্থায়ও ফেশিয়াল করা যায়। তবে মানতে হবে কিছু সতর্কতা।
* ফেশিয়াল করার আগে পারলার দেখে-শুনে নির্বাচন করা উচিত।
* ফেশিয়ালের আগে কোন ফেশিয়ালটি ত্বকের ধরন ও আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই, সেটি নির্বাচন করতে হবে।
* এ ছাড়া অনেক সময় ফেশিয়াল করার পর ত্বকে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে তারপর বেছে নিতে হবে ত্বকের জন্য উপযুক্ত ফেশিয়াল।