মেকআপ পণ্যের ব্যবসা শুরু করলেন শাকিব খান
ঢালিউডের জনপ্রিয় তারকা শাকিব খান যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শপিং মলে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা কাপড় দেখতেন, তখন খুব গর্ব বোধ করতেন। তখনই তাঁর মনে হয়েছিল, কাপড়ের মতো কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, ইলেকট্রনিকসও বাংলাদেশে তৈরির পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে পারে!
এই চিন্তা থেকে তখন বাংলাদেশে তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধুদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন শাকিব খান। বাংলাদেশে এমন একটা কসমেটিকস, টয়লেট্রিজ, স্কিনকেয়ার ইন্ডাস্ট্রির স্বপ্ন তিনি দেখেন, যা হবে বিশ্বমানের কিন্তু উৎপাদন হবে বাংলাদেশে। সব শ্রেণির মানুষের সাধ্যের ভেতর থাকবে। সহজলভ্য হবে, গুণে মানে হবে সেরা।
রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিনে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান বলেন, ‘আমি আজকে ভীষণ আনন্দিত। কারণ, যে স্বপ্ন আমি কয়েক বছর আগে দেখেছিলাম, আজ থেকে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে চলেছে। আমি চেয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে থেকেই এ রকম একটা বিউটি ব্র্যান্ডের যাত্রা শুরু করব। দেশে আসার পর হঠাৎ আমার এক কাছের বন্ধু বলল নিজ দেশের ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কর্ণধার আশরাফুল আলমের কথা, যিনি নিয়ে এসেছেন ঠিক এমনই একটি কোম্পানি। তারপর সব সমমনা এক হয়ে ঠিক করলাম, একসঙ্গে এই ভেঞ্চারকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
এভাবেই রিমার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানান শাকিব। এখন থেকে শাকিব খানও রিমার্কের অন্যতম পরিচালক। রিমার্কের অধীনে প্রায় ৫০টি বাংলাদেশি ব্র্যান্ড রয়েছে। হারল্যান, সিওডিল, নিওর, লিলি, ব্লেইজ এগুলো রিমার্কেরই সাবব্র্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ
শাকিব জানান, দুঃখজনক হলেও সত্যি যে নকল ও ভেজাল পণ্য দিয়ে দেশের বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। দিনের পর দিন নকল পণ্যের পেছনে টাকা ব্যয় করে ভোক্তারা অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ভেজাল পণ্যের হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে চায় রিমার্ক।
স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকসের অর্ধশত দেশি ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করছে রিমার্ক। যেগুলোর ভেতর হারল্যান, সিওডিল, নিওর, লিলি, ব্লেইজ উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত হারল্যানের ৪০টির বেশি আউটলেট রয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শোরুম খোলা হবে বলে ঘোষণা দেন শাকিব।