দীর্ঘদিন ধরে চর্মরোগ–বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। লেজার চিকিৎসার কার্যকারিতা সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা কী?
লেজার একটি উন্নত মানের চিকিৎসাপদ্ধতি। উন্নত বিশ্বে বর্তমানে এর ব্যবহার প্রচুর। নির্দিষ্ট সমস্যার ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা বেশ কার্যকর। তবে যে সমস্যার জন্য লেজার চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে, তার পেছনে বংশগত কারণ ও হরমোনের তারতম্য বা অন্য কোনো কিছু দায়ী হলে এ চিকিৎসায় তেমন লাভ নেই। আবার অন্য কোনো কারণ না থাকলেও যেসব সমস্যা পুরোপুরি সেরে যায়, তা-ও নয়। এ পদ্ধতিতে বিশেষ ধরনের আলোর মাধ্যমে ত্বকে কিছু প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনা হয়। তাতে সমস্যার মাত্রা বেশ খানিকটা কমে যায়।
লেজার চিকিৎসার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী?
লেজার ব্যথামুক্ত ও কাটাছেঁড়াহীন বিশেষ চিকিৎসাপদ্ধতি। ত্বকের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক মাস অন্তর কয়েকবার লেজার চিকিৎসা নিতে হয়। তবে এটি বেশ ব্যয়সাপেক্ষ পদ্ধতি।
প্রথম আলো :
লেজার চিকিৎসা কি সবার জন্য উপযোগী?
এই পদ্ধতিতে অবাঞ্ছিত লোমের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা করানো সম্ভব। লেজার পদ্ধতিতে ত্বকের বলিরেখা, বিভিন্ন দাগ, মুখে সৃষ্ট গর্ত প্রভৃতির চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। তবে কেবল বিজ্ঞাপন দেখেই লেজার চিকিৎসায় আগ্রহী হবেন না। শুরুতে রোগনির্ণয় প্রয়োজন। কোনো সমস্যার জন্য একজন রোগীর লেজার চিকিৎসা প্রয়োজন হবে কি না, তা নির্ধারণ করবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। এ ক্ষেত্রে বয়স বিবেচ্য বিষয় নয়। আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা থাকলে কিংবা ত্বকে কোনো জীবাণুর সংক্রমণ থাকলে লেজার চিকিৎসা নেওয়া যায় না।
এই চিকিৎসাপদ্ধতির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে লেজার চিকিৎসার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যবহার করা হলে ত্বক পুড়ে লালচে হয়ে যেতে পারে। তবে এটি খুব জটিল কোনো সমস্যা নয়। সময়ের সঙ্গে এ সমস্যা সেরে যায়।
প্রথম আলো :
লেজার চিকিৎসা নেওয়ার পর ত্বকের বাড়তি কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় কি?
লেজার চিকিৎসা যেদিন নেওয়া হয়, সেদিনকার জন্য রোদে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেদিন যদি রোদে যেতে হয়, তাহলে ত্বকের যে অংশে লেজার চিকিৎসা নেওয়া হয়েছে, সেই অংশে অবশ্যই এমন প্রসাধন ব্যবহার করতে হবে, যা রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেবে।