বিমানে ঘুমাবেন কীভাবে
লম্বা দূরত্ব পাড়ি দিতে বেশির ভাগ সময় আকাশপথে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প থাকে না। অনেকে ঘুমিয়েই পথটা কাবার করে দেওয়ার কথা ভাবেন। কিন্তু বিমান তো আর অন্য সব যানবাহনের মতো নয়। মাটি থেকে হাজার ফুট ওপরে ঘুমানোর জন্যও দরকার প্রস্তুতি।
ঘুমের সরঞ্জাম তৈরি রাখা
বাসে বা গাড়িতে হুটহাট ঘুমিয়ে পড়ে নিজেকে যানবাহনে ঘুমানোর ‘এক্সপার্ট’ ভাববেন না যেন। বিমানভ্রমণ অন্য যেকোনো ভ্রমণের চেয়ে আলাদা। বিমানে দীর্ঘ সময় একইভাবে বসে থাকার কারণে শরীরে ভর করে জড়তা। তাই সেখানে ঘুমানোর জন্যও প্রয়োজন আলাদা প্রস্তুতি। নেক-পিলো, স্লিপ মাস্ক, নয়েজ ক্যান্সেলিং হেডফোন—আগে থেকেই প্যাক করে রাখুন। ঘুমের সরঞ্জাম তৈরি থাকলে ঘুমিয়ে পড়তে খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয়।
কফি খাবেন না
বিমানে চড়ে বসার আগে অনেকেই ক্লান্তি কাটাতে কফির পেয়ালায় চুমুক দেন। বিমানে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে এই এক চুমুক কফিই যথেষ্ট। যে কারণে বিমান চড়ার আগে যতটা সম্ভব কফি থেকে দূরে থাকুন।
মানানসই পোশাক পরুন
বিমানভ্রমণে যতটা সম্ভব আরামদায়ক জামাকাপড় পরার চেষ্টা করবেন। আনুষ্ঠানিক কোনো সফর না হলে বিদেশে স্যুটেড-বুটেড হয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই। বরং ক্যাজুয়াল পোশাক পরার চেষ্টা করুন। এতে করে বিমানে বিশ্রাম নিতে সুবিধা হবে।
বিমানে চড়ার নিয়ম মেনে চলুন
নিজের আরামের জন্য আবার বিমানে চড়ার নিয়মকানুন ভুলে যাবেন না যেন। সিটে বসামাত্রই সঠিক নিয়মে সিটবেল্ট বেঁধে নিন, প্রয়োজন হলে বিমানের সঙ্গে দেওয়া কাঁথা গায়ে দিয়ে তার ওপর সিটবেল্ট বাঁধুন। এতে করে বিমানবালাদের আপনার সুরক্ষার ব্যাপারে চিন্তিত হতে হবে না। আপনিও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন।
স্ক্রিনটাইম কমিয়ে আনুন
বিমানে উঠে আপনার লক্ষ্য যদি থাকে ঘুমানো, তবে যথাসম্ভব কম স্ক্রিন ব্যবহার করুন। সিটের সামনে থাকা মনিটর কিংবা মুঠোফোন, যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। স্ক্রিনের ব্লু লাইট ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে অনেক সময় ফোন সরিয়ে রাখার অনেকক্ষণ পরেও ঘুম আসে না।
তথ্যসূত্র: ট্র্যাভেল অ্যান্ড লেজার