যে চুলায় রান্না করতে গ্যাস লাগবে না

অনেক সময়ই দেখা যায় গ্যাস থাকে না; কিংবা থাকলেও চাপ এত কম থাকে যে রান্না করতে অনেক সময় লেগে যায়। তখন উচ্চমূল্যের এলপিজি বা সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার করা ছাড়া গতি থাকে না। বিকল্প উপায় খুঁজতে গিয়ে কেউ আবার তুলনামূলক উচ্চমূল্যের বৈদ্যুতিক ইনফ্রারেড চুলা ব্যবহার করেন। তাতে রয়েছে আবার বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ। কম খরচে কম সময়ে ঝটপট রান্নার একটা উপায় হতে পারে ইন্ডাকশন চুলা।

কম খরচে কম সময়ে ঝটপট রান্নার একটা উপায় হতে পারে ইন্ডাকশন চুলা
ছবি: কবির হোসেন

আগুনের শিখা ছাড়াই তড়িচ্চুম্বকের এক বিশেষ ক্রিয়াকৌশলে খাবার রান্না করে এই চুলা। ফার্মগেটের ‘বেস্ট বাই’ শো রুমের উপপরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, চুলার সবটুকু অংশে তাপ ছড়াবে না, রান্নার পাতিল বা পাত্রের যেটুকু অংশ চুলা স্পর্শ করে থাকবে, ঠিক অতটুকু অংশই তাপ গ্রহণ করবে। বাকি অংশে ভুল করে হাত লেগে গেলেও ভয়ের কিছু নেই।

আবার ভুল করে সুইচ অন করে ফেললেও চুলার ওপর কোনো পাত্র না থাকলে তাপ ছড়াবে না। চুলার ওপর রান্নার পাত্র দেবেন। পাত্র তাপ পাবে, রান্না হবে। রান্না শেষে পাত্র তুলে নিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুলা বন্ধ হয়ে আসবে।

আছে টাচস্ক্রিন কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা। ভোল্টেজ কমিয়ে বা বাড়িয়ে নেওয়ার সুবিধা। সময় বেঁধে দেওয়ার জন্য টাইম কন্ট্রোলার। শিশু নিরাপত্তাসূচক মোড, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চুলা বন্ধ হওয়াসহ আরও অনেক সুবিধা।

ভোল্টেজ কমিয়ে বা বাড়িয়ে নেওয়ার সুবিধা আছে এ ধরনের চুলায়
ছবি: কবির হোসেন

ইন্ডাকশন চুলার পাত্র

ইন্ডাকশন চুলায় সরাসরি তাপ উৎপন্ন হয়ে পাত্রের গায়ে লাগে না, চুম্বকরশ্মির মাধ্যমে তাপ টেনে নেয় পাত্র। ফলে সব রকমের পাত্র ব্যবহার করা যাবে না। যেসব পাত্র চুম্বক দ্বারা আকর্ষিত হয়, সেসব পাত্রই শুধু ইন্ডাকশন চুলায় ব্যবহার করা যায়। যেমন স্টিল ও লোহার পাত্র। চুলার সর্বোত্তম সুবিধা পেতে বেছে নিতে পারেন ইন্ডাকশনের জন্য নির্মিত বিশেষ পাত্র।

চুলার দরদাম

আরএফএলের বেস্ট বাই শো রুম কিংবা ই-শপ থেকে নিতে পারেন পছন্দসই ইন্ডাকশন চুলা। ভিশন ও ভিগো ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম ইন্ডাকশন চুলা ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪ হাজার ১০০ টাকার ভেতরেই পাবেন। অনলাইন কেনাকাটায় পাবেন বিশেষ ছাড়।

চুলার ওপরের অংশ যেহেতু কাচের তৈরি, তাই ব্যবহারে একটু যত্নবান হতে হবে
ছবি: কবির হোসেন

ব্যবহারের সতর্কতা

রান্নার পরপরই গরম থাকা অবস্থায় ঠান্ডা পানি দিয়ে চুলা পরিষ্কার করতে যাবেন না। কাচ ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। চুলা ঠান্ডা হয়ে এলে তবেই পরিষ্কার করুন। চুলার ওপরের অংশটা যেহেতু কাচের তৈরি, তাই গ্লাস ক্লিনার ব্যবহার করতে পারেন। রবিউল ইসলাম জানান, যেহেতু ওপরের অংশ কাচের তৈরি, তাই ব্যবহারে একটু যত্নবান হতে হবে যেন ফেটে বা ভেঙে না যায়। কাচ ফেটে বা ভেঙে না যাওয়ার শর্তে নতুন কেনা ইন্ডাকশন চুলায় থাকছে এক বছরের ওয়ারেন্টি। এরপর কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলে শুধু ওই অংশের মূল্য পরিশোধে মেরামত করিয়ে নিতে পারবেন।