৩০ পেরোনোর পর যে ৭ বিষয় অবহেলা করতে নেই

৩০ বছর বয়স পেরোনোর পরই জীবনের বহু সমীকরণ বদলে যেতে শুরু করে

৩০ বছর বয়স পেরোনোর পরই জীবনের বহু সমীকরণ বদলে যেতে শুরু করে। শরীরে চলে নানা রদবদল। সম্পর্কগুলো পূর্ণতার দিকে এগোতে থাকে। ক্যারিয়ারের মোড়ও ঘুরতে থাকে। জীবনের এই বদলের ফেরে আপনি এ বয়সে যেখানেই এসে দাঁড়ান না কেন, সামনের দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। একই সঙ্গে বর্তমানকেও উপভোগ করুন। জেনে নিন, ৩০ বছর বয়সের পর কোন বিষয়গুলোকে অবহেলা করতে নেই।

‘ফোকাস’ করা

এ বয়সে পৌঁছানোর পর যা নিয়ে ভাববেন, তাতে মনটাকে ‘ফোকাস’ করুন। স্বচ্ছভাবে ভাবতে পারাটা জরুরি। এ নিয়ে কোনো অবহেলা নয়। কোনো কিছু নিয়ে মনের ভেতর দ্বিধা রাখবেন না। যেখানে যখন সময় ব্যয় করবেন, সেই মুহূর্তে সেখানেই রাখুন নিজেকে, পুরোপুরি। নতুন কিছু শুরু করলে এর ভালোমন্দ ভেবে দেখুন পরিচ্ছন্নভাবে।

আরও পড়ুন
কম ঘুমিয়ে বেশি কাজ করার অভ্যাস থাকলে তা থেকে সরে আসতে হবে
ছবি: প্রথম আলো

নিজের জন্য ভাবনা

নিজের জন্য আলাদা সময় রাখতে হবে। নিজের একটু যত্ন নিতে হবে। কাজ ও শরীরচর্চার জন্য নির্দিষ্ট সময় ব্যয় করতে হবে। মন যা চায়, যা করলে ভালো লাগে, তেমন কিছুর জন্যও সময় বের করুন। সারা জীবন আপনি যেভাবে চলতে চেয়েছেন কিংবা জীবনে ‘যা’ হয়ে উঠতে চেয়েছেন, তার বাস্তবায়ন করার সময় কিন্তু এটাই। নিজের কিসে ভালো হবে, সেটাও ভাবুন। ধরুন, আপনি এক জোড়া জুতা কিনবেন। পরখ করে নিন, তা আপনার পায়ের জন্য আরামদায়ক কি না, পায়ের পাতার স্বাভাবিক আকৃতি ধরে রাখার উপযোগী কি না। জুতা জোড়া ফ্যাশনদুরস্ত কি না, তা কিন্তু অনেক পরের কথা।

ঘুম

পর্যাপ্ত ঘুমাতেও হবে। কম ঘুমিয়ে বেশি কাজ করার অভ্যাস থাকলে তা থেকে সরে আসতে হবে। রাত জেগে আড্ডা দেওয়া, টেলিভিশন দেখা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিরিক্ত সময় কাটানোর মতো অভ্যাস থাকলে তা থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। ঘুমের আগে ভাবতে পারেন, পৃথিবীতে আপনার পাওয়া আনন্দের কথা।

আরও পড়ুন
এ বয়সে সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল থাকা জরুরি
ছবি: আবদুস সালাম

সম্পর্কের যত্ন নেওয়া

রক্তের সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, বৈবাহিক সম্পর্ক, সামাজিক সম্পর্ক—প্রতিটি সম্পর্কই মূল্যবান। এ বয়সে সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল থাকা জরুরি। সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করতে সময়টাকে কাজে লাগাতে হবে। সবার সঙ্গে নিয়মিত দেখা না-ও হতে পারে। তবু যোগাযোগ রাখুন। অপর পক্ষ তেমন একটা যোগাযোগ রাখছে না? নাই–বা রাখল! ‘ইগো’ দেখাবেন না। নিজ থেকেই আলাপ করুন। সহজ থাকুন।

সঞ্চয়

এই বয়সে সঞ্চয়ের অভ্যাস করুন অবশ্যই। অল্প কিছু হলেও জমিয়ে রাখুন ভবিষ্যতের জন্য, অজানা দুঃসময়ের জন্য। চেষ্টা করুন এই বয়সে নতুন করে ধারদেনা না করার। পুরোনো দেনা থাকলে মিটিয়ে ফেলুন।

খাদ্যাভ্যাস

স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এই বয়সে। শরীরের জন্য যা ভালো নয়, তা গ্রহণ করার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনতে হবে।

মন্দ অভ্যাস ছেড়ে আসা

এই বয়সে এসে আপনি অবশ্যই জানেন, আপনার মধ্যে কী কী খারাপ দিক রয়েছে। আপনার কোনো ‘গোপন অভ্যাস’ থাকতেই পারে। সেটিও কিন্তু আপনার কাছে ‘গোপন’ নেই। এসব বিষয় থেকে বেরিয়ে আসুন। ধূমপান বা মদ্যপানকে স্বাভাবিক বিষয় বলে ধরে নেবেন না যেন। এগুলোও ছেড়ে দিতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফোর্বস