কিছু ডোর নবে ছোট একটা ছিদ্র থাকে কেন, এটি কীভাবে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে

‘তালা’ বললে আমরা কী বুঝি? চাবি দিয়ে আটকে দেব, কেউ খুলতে পারবে না। কেবল চাবি যাঁর হাতে, তিনিই তালাটা খুলতে পারবেন। তবে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সব তালা কিন্তু এই ডিজাইনে তৈরি হয় না। আপনার ডোর নবে ছোট একটা ছিদ্র দেখতে পেলে ধরে নিতে পারেন, এই ছিদ্র বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে; এমনকি জীবনরক্ষাকারীও হয়ে উঠতে পারে। কীভাবে?

ছোট ছিদ্রযুক্ত এসব ডোর নবকে বলে ‘প্রাইভেসি লক ডোর নব’ছবি: সংগৃহীত

ছোট ছিদ্রযুক্ত এসব ডোর নবকে বলে ‘প্রাইভেসি লক ডোর নব’। এ ধরনের ডোর নব বাড়ির বাইরের দরজায় লাগানো হয় না। কারণ, এসব লক অনুপ্রবেশকারীর হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। এসব ডোর নব বরং ব্যবহার করা হয় বাথরুম বা কখনো কখনো শোবার ঘরেও। এর সুবিধা হলো, বাথরুমে ঢুকে ভেতর থেকে লক করে দিলেই ঝামেলা শেষ, বাইরে থেকে কেউ খুলতে পারবে না। তবে খোলা যে যাবেই না, তা কিন্তু নয়। গোলমেলে লাগছে? বা ভাবছেন, তাহলে এর দরকার কী?

চাবি দিয়ে খোলার উপযুক্ত ডোর নব
ছবি: পেক্সেলস

এসব লক এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে শুধু ভেতর থেকে লক করা যায় এবং বাইরে থেকে চাবি ছাড়াই খোলা সম্ভব। ধরা যাক, বাড়ির শিশুটি নিজেকে ভেতরে আটকে ফেলেছে কিংবা আপনি দরজার বাইরে আটকে গেছেন অথবা দ্রুত কোনো জরুরি অবস্থায় বের হতে হবে। যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, এই ছোট ছিদ্রটি ব্যবহার করে কীভাবে দরজা খুলতে হয়, তা জানা থাকলে আপনার আর দুশ্চিন্তা বা সময়ের অপচয় করতে হবে না।

আরও পড়ুন

ছোট্ট ছিদ্রটি যেভাবে কাজ করে

এ ধরনের ডোর নবের সঙ্গে সাধারণত জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য একটি চাবি দেওয়া হয়। এসব চাবি ডোর নবের ছিদ্রটির সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যায়। চাবিটি ঠিক চাবির মতো দেখতে নয়। ছোট, চিকন ধাতুর টুকরা আদতে।

আকারের কারণে এটি সহজেই হারিয়ে যেতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, ক্রেতা জানেনই না ওটার কাজ কী। তাই লক কেনার পরই ইমার্জেন্সি কি বা জরুরি চাবিটি ফেলে দেন। পরবর্তী সময়ে লকসহ দরজাটি যদি অন্য কেউ কেনেন, তাহলে সেকেন্ড হ্যান্ড দরজার ক্রেতা সেই চাবিটি আর কোনো দিনও পান না।

কোনো কোনো লকের জরুরি চাবি আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। চাবিটি আর পাওয়া না গেলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি একটি ফ্ল্যাটহেড স্ক্রুড্রাইভার ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা সরু অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করতে পারেন, যেটি ওই ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করানো যায়। যেমন ছোট আকারের হেক্স রেঞ্চ, পেপার ক্লিপ, বাঁকা করা কাপড়ের হ্যাঙ্গার, সুই, সাসলিকের কাঠি ইত্যাদি।

আরও পড়ুন

যে সরঞ্জামই বেছে নিন না কেন, সরাসরি ছিদ্রের মধ্যে প্রবেশ করান। লক মেকানিজমটি পলকা হতে পারে, তাই হাতের সরঞ্জামটি কোনাকুনি ঢোকাবেন না। ডোর নবটি ঘোরানো হাতলের হলে সরঞ্জামটি ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটার দিকে বা বিপরীত দিকে ঘোরান। যেকোনো একটি দিকে ঘোরালেই খুলে যাবে।

এ ধরনের ডোর নব খুলতে ব্যবহার করুন সরু ধাতব কিছু
ছবি: সংগৃহীত

আর ডোর নবটিতে যদি পুশ-বাটন থাকে, তাহলে সরঞ্জামটি কেবল সামনের দিকে ঠেলা দিন। সরঞ্জামটি লকের খাঁজে আটকে গেলে বা ফিট হলে আপনি ঠিকই টের পাবেন। এরপর দরজার হাতল ঘুরিয়ে খুলুন এবং স্বস্তির নিশ্বাস ফেলুন!

সূত্র: ইয়াহু

আরও পড়ুন