আপনার প্রস্তুতিতে বিশেষ কী ছিল?
সজীব আহমেদ: পাঠ্যবই বুঝে বুঝে পড়তাম। বইয়ের প্রতিটি বিষয়ে মৌলিক ধারণা থাকা খুব জরুরি। বিগত বছরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে সমাধান করার চেষ্টা করতাম। এসবই কাজে লেগেছে।
কলেজে পড়ার সময় থেকেই কি একটু একটু করে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন?
সজীব আহমেদ: হ্যাঁ। এইচএসসি পরীক্ষার আগেই প্রস্তুতি যথেষ্ট গুছিয়ে নিয়েছিলাম। আর ভর্তি পরীক্ষার আগে বেশি বেশি প্র্যাকটিস (অনুশীলন) করেছি।
বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন দেখার শুরু কবে?
সজীব আহমেদ: নবম শ্রেণিতে থাকাকালীন বুয়েট সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারি। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান পড়তে তখন অনেক ভালো লাগত। তাই সেই সময়ই ঠিক করে নিয়েছিলাম, বুয়েটে পড়ব।
মা-বাবা, পরিবার, বন্ধু, কলেজের শিক্ষক—কার কোন সহযোগিতা বা পরামর্শ বিশেষ কাজে এসেছে?
সজীব আহমেদ: পরিবারের সবার ও শিক্ষকদের আমার প্রতি অনেক আশা ছিল। এটাই আমাকে পড়াশোনার ব্যাপারে সব সময় অনুপ্রাণিত করেছে।
জুলাই মাস থেকেই দেশের শিক্ষার্থীদের মনোজগতের ওপর দিয়ে একটা বড় ঝড় গেছে। অনেকেই পড়াশোনায় মন দিতে পারেননি। আপনি কীভাবে মনোযোগ ধরে রেখেছেন?
সজীব আহমেদ: সেই সময় আমিও পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারিনি। দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সব সময় চিন্তিত থাকতাম।
পড়ালেখার পাশাপাশি আপনার আগ্রহ কিসে?
সজীব আহমেদ: শখের বিষয় খেলাধুলা। বিশেষ করে ফুটবল ও ক্রিকেট খেলতে আমার খুব ভালো লাগে।
শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় কোনটা ছিল বলে মনে করেন?
সজীব আহমেদ: তেমন কোনো কঠিন সময় ছিল না। নিয়মিত পড়াশোনা করতাম। দেখা যেত কিছু কিছু পরীক্ষায় কম নম্বর পেলে মন খারাপ হতো। কিন্তু এটা আবার পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতে ভালো করার প্রেরণা দিত।
বুয়েটে কোন বিষয় নিয়ে পড়বেন বলে ভাবছেন?
সজীব আহমেদ: কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়ব।
ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
সজীব আহমেদ: এত দিনের স্বপ্ন ছিল বুয়েটে পড়ার। আল্লাহর রহমতে সেই সুযোগ পেয়েছি। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনো কিছু ঠিক করিনি। কিন্তু আল্লাহ যেন আমাকে আরও পরিশ্রমী করে তোলেন এবং আমি যেন দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারি, সেই দোয়াই চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।