শীতে পায়ে দুর্গন্ধ হবে না, যদি মানেন এসব নিয়ম
শীতে জুতা–মোজা পরা কারও কারও কাছে রীতিমতো দুর্বিষহ ব্যাপার। কারণ একটাই—উৎকট গন্ধ। সাধারণত দীর্ঘ সময় পা ঘামার কারণে তা জুতা ও মোজায় আটকে গিয়ে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আর শীতে পা ঘামার বড় কারণ পা ঢাকা জুতা পরা। তবে শুধু ঘামের জন্যই যে দুর্গন্ধ হয়, তা নয়। পায়ে দুর্গন্ধ হওয়াকে বলা হয় ব্রোমোডোসিস।
কেন হয়
পায়ের পাতায় ঘর্মগ্রন্থি বেশি থাকে। তা ছাড়া অনেকের হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যা থাকে। বংশগত কারণ বা হরমোনজনিত পরিবর্তনেও বেশি ঘাম হতে পারে।
পায়ে দুর্গন্ধের জন্য নানা রকম জীবাণুও দায়ী। যেমন কিটোকক্কাস সেডেনটেরিয়াস নামের ব্যাকটেরিয়া ঘামের মধ্যে সালফিউরিক যৌগ তৈরি করে। এতে পচা ডিমের মতো গন্ধ বের হতে পারে।
সিনথেটিক মোজায় দুর্গন্ধ বাড়ে। কারণ, এতে বাতাস চলাচল করতে পারে না। ঘাম শোষণেও অকার্যকর। কৃত্রিম চামড়ার জুতা পরলে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
যেসব নিয়ম মানবেন
পা ও জুতা–মোজা শুকনা রাখার চেষ্টা করুন। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ কমবে।
অ্যালকোহল ওয়াইপস দিয়ে পা পরিষ্কার করুন। সিনথেটিক ও প্লাস্টিকের জুতা এড়িয়ে চলুন। কৃত্রিম সুতার মোজাও এড়িয়ে চলুন।
রাতে শোয়ার আগে গরম পানিতে অল্প মধু আর গোলাপজল মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। এতে পায়ে রক্তসঞ্চালন ভালো হবে, ব্যাকটেরিয়া থেকে রেহাই পাবেন।
এপসম সল্ট মেশানো গরম পানিতে পা চুবিয়ে রাখতে পারেন ২০ মিনিট।
জুতার মধ্যে সামান্য বেকিং সোডা মাখিয়ে রাখুন। পরদিন জুতার ওই অংশ ভালো করে মুছে পরিষ্কার করে জুতা পরুন। তবে চামড়ার জুতায় বেকিং সোডা ব্যবহার করা যাবে না।
কেডস ও স্নিকার্সে মাঝেমধ্যে সামান্য লবণ ছিটিয়ে দিন। এক টুকরা কাপড় বা তুলা লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতার মধ্যে রেখে দিন।
ফুটন্ত পানিতে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন দুই মিনিট। টি ব্যাগ ঠান্ডা হলে জুতার মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর ওই টি ব্যাগ সরিয়ে জুতার ভেতরের অংশ ভালো করে মুছে নিন। গন্ধ থাকবে না।