মরুভূমির চেয়েও কম বৃষ্টিপাত হয় যেখানে
আজ পয়লা আষাঢ়। কাঙ্ক্ষিত বর্ষার প্রথম দিনে বৃষ্টি নিয়ে জেনে নেওয়া যাক মজার কিছু তথ্য।
আজ পয়লা আষাঢ়। কাঙ্ক্ষিত বর্ষার প্রথম দিন। চৈত্র থেকেই গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। মাঝে রিমালের তাণ্ডবে বৃষ্টি হলেও প্রায় পুরোটা সময় দেশের অধিকাংশ এলাকার আবহাওয়া ছিল গরম। এমন ভয়াবহ গ্রীষ্মের দিন পেরিয়ে বর্ষার মেঘ নিশ্চয়ই মনে আনবে প্রশান্তি। বর্ষার সুগন্ধি আর সুদর্শন ফুলেরাও তো আসছে।
প্রকৃতিতে নামুক প্রশান্তি। মেঘ সাজুক আকাশ কালো করে। বাংলার বুকে নামুক বৃষ্টি। মজার ব্যাপার কি জানেন? সব সময় বৃষ্টির সব ফোঁটা কিন্তু মাটি অবধি পৌঁছায় না। আষাঢ়ের প্রথম দিনে বৃষ্টি নিয়ে এমন কিছু মজার তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
বৃষ্টির সব ফোঁটা যে কারণে মাটিতে পৌঁছায় না
প্রচণ্ড গরম আর শুষ্ক স্থানে সব সময় বৃষ্টির সব ফোঁটা মাটিতে পৌঁছায় না। মেঘ থেকে নেমে আসা বৃষ্টির ফোঁটা কখনো কখনো সেখানকার মাটি পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই প্রচণ্ড উত্তাপে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এদিকে গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ কিন্তু মেঘ দেখে বৃষ্টির আশায় বুক বাঁধে। বৃষ্টির ফোঁটাও যে নেমে আসতে দেখা যায়! তবে সেই বৃষ্টি অনেকটা মরীচিকার মতো।
বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণ ভালো লাগে যে কারণে
বৃষ্টি তো পানিই। তবু বৃষ্টিভেজা মাটির ঘ্রাণ কেন ভালো লাগে? কারণ হলো জিওসমিন নামক এক সুগন্ধি উপকরণ। মাটিতে বসবাসকারী জীবাণু জিওসমিন তৈরি করে। বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে পড়ে সৃষ্টি হয় ছোট ছোট ‘বাতাসের থলে’ (এয়ার পকেট)। ওই থলেতেই থাকে জীবাণুদের তৈরি জিওসমিন। এই ‘বাতাসের থলে’ ওই জায়গার বায়ুপ্রবাহে মিশে যায়। তাই সুগন্ধি জিওসমিনের ঘ্রাণ পাই আমরা।
মরুভূমিতেই কিন্তু সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয় না
অনেকেই ভাবতে পারেন, ঊষর মরুর তপ্ত বুকেই বুঝি বৃষ্টি সবচেয়ে কম হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকায় বৃষ্টিপাত হয় সবচেয়ে কম। অন্যান্য মহাদেশে এর চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টির ফোঁটা ‘গোল’
বৃষ্টির ফোঁটাকে যেমন নিচের দিকটা খানিক চ্যাপটা হয়ে থাকা একটা ফোঁটা হিসেবে আমরা দেখি, এর আসল আকার কিন্তু তেমন নয়। বৃষ্টির ফোঁটা মোটামুটি গোল। কিন্তু পৃথিবীর বুকে নেমে আসতে আসতে বাতাসের চাপে এর নিচের অংশটা অমন চ্যাপটা হয়ে যায়।
সব বৃষ্টিই ‘পানি’ নয়
পৃথিবীর বাইরে কিছু জায়গায় সালফিউরিক অ্যাসিড বা মিথেনের বৃষ্টি হয়। এমনকি পৃথিবী থেকে পাঁচ হাজার আলোকবর্ষ দূরের এক গ্রহে লোহার কণাও ঝরে পড়ে বৃষ্টি হয়ে।
সূত্র: রিডারস ডাইজেস্ট