একজন প্রতিদিন সুডোকু মেলাতেন, আরেকজন অবসরে আঁকতেন ছবি
শুরু থেকেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষের ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাপন জানতে চেষ্টা করেছে ‘অধুনা’। নানা অঙ্গনের অনেক তারকা রোজকার অভ্যাস ও শখ নিয়ে কথা বলেছেন, ছবি তুলেছেন একাধিক ভঙ্গিতে। তেমনই দুই শ্রদ্ধেয় গুণী মানুষ লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। দুর্ভাগ্য, তাঁদের কেউই আর এখন আমাদের মাঝে নেই। প্রথম আলোর ২৫ বছর পূর্তিতে এই দুইজনের জীবনযাপনের অংশবিশেষ আবার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো
লেখার মতো জীবনযাপনেও পরিপাটি
১৯৬০ সালের দিকে একবার করাচি গিয়ে জিনস প্যান্টের প্রেমে পড়েছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। লেখক মানেই পাঞ্জাবি আর ঝোলা—এই গৎবাঁধা ফ্যাশন ভাঙতে চেয়েছেন বরাবর। দুই পকেটের মোটা কাপড়ের শার্ট পরতে ভালোবাসতেন। কিশোর বয়স থেকেই মা-বাবা ছাড়া একা ঢাকায় থাকার দরুন ছোটবেলা থেকেই নিজের রুচিবোধ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন নিজের মতো করে।
২০১৩ সালে ‘অধুনা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লেখক জানিয়েছিলেন লিখতে বসার আগের প্রস্তুতির কথাও। গোসল করে, পরিষ্কার পোশাক পরে দামি কলম আর কাগজ নিয়ে তারপর লিখতে বসতেন। কারণ, তিনি মনে করতেন, ‘সেটা না হলে নিজের সৃষ্টিকে অবহেলা করা হয়’।
সোনার গয়নার প্রতি লেখকের একধরনের দুর্বলতা ছিল, হাত ও গলায় পরতেন সোনার ব্রেসলেট ও চেইন। কালো ডায়ালের একাধিক ঘড়ি ব্যবহার করতেন। মানুষ দেখা আর চেনা ছিল লেখকের একমাত্র শখ।
যেন ছকে বাঁধা জীবন
প্রতিদিন সাত থেকে আটটি পত্রিকা পড়তেন, টিভিতে খবর দেখতেন, সুডোকু মেলানো ছিল পছন্দের কাজ, রমনা পার্কে গিয়ে সূর্যোদয় দেখতে ভালোবাসতেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী।
প্রকৌশলী, শিক্ষক, পরামর্শক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা—নানা পরিচয়ে পরিচিত জামিলুর রেজা চৌধুরী সবশেষ ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য। দ্য ইকোনমিস্ট সাময়িকী পড়তেন নিয়মিত। বিছানার পাশেই থাকত নানা বই। পড়ার ঘরেও ছিল বইয়ের বিশাল সংগ্রহ।
সেসব থেকে কোনো না কোনো বই পড়ার মধ্যেই থাকতেন। বেড়াতে ভালোবাসতেন। দেশের বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে সুউচ্চ ভবনগুলোর ছোট ছোট স্মারক কিনে এনে জমাতেন।
খুব প্রিয় ছিল রবীন্দ্রসংগীত। বাড়িতে খদ্দরের পাঞ্জাবি পরতেন বেশি। সব ধরনের পোশাকেই ছিলেন স্বাচ্ছন্দ্য।
বিস্তারিত পড়ুন নিচের লিংকে