স্বাদের পুদিনা

পুদিনা পাতা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। ছবি: অধুনা
পুদিনা পাতা খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। ছবি: অধুনা

পুদিনা থেকেও এর ইংরেজি নাম মিন্ট কারও কাছে বেশি চেনা। কেননা বাজারে মিন্ট ফ্লেভারে নানা জিনিস পাওয়া যায়। এই স্বাদে বাজারে যা কিছু পাওয়া যায়, তার সবকিছুই হলো এই পুদিনার নির্যাসে তৈির। পুদিনা নিজের স্বাদ-গন্ধ অন্য খাবারে বিলিয়ে দিয়ে খাবারগুলোকে আরও সুস্বাদু করে তোলে। আর এই পুদিনার চাষও একেবারে সোজা। ডাল বা কাণ্ড ভেজা কিংবা আর্দ্র মাটিতে পুঁতে রাখলে এমনিতেই জন্মে এটি। তাই চাইলে ঘরের কোণে কিংবা বাড়ির ছাদে ছোট্ট একটুখানি জায়গায় পুদিনা লাগাতে পারেন। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো বললেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই পুদিনা তার স্বাদ-গন্ধের জন্য বিখ্যাত। শুধু স্বাদ-গন্ধ বলছি কেন, পুষ্টিগুণেও কিন্তু পুদিনা অনন্য। রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময় দুই দিকেই খুব কার্যকর।’ এ ছাড়া ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুদিনা রক্তে খারাপ ধরনের েকালেস্টেরল জমতে বাধা প্রদান করে, তাই হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এবার পুদিনার জানা অজানাগুলো গুণগুলো আরেকবার জেনে নেওয়া যাক।
 ভ্রমণে যাঁদের বমির প্রবণতা থাকে। তাঁদের জন্য পুদিনা খুব ভালো খাদ্য। ভ্রমণের আগে ও ভ্রমণকালে পুদিনা পাতার জুস সঙ্গে নিন।
 পুদিনা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধÿক্ষমতা বাড়ে, সেই সঙ্গে রোগবালাইও দূরে রাখে।
 মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে পুদিনা পাতা পরিষ্কার পানির সঙ্গে মিশিয়ে কুলি করতে পারেন। এটি মাউথওয়াশের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
 যাঁদের হজমে গোলযোগ, তাঁরা নিয়মিত এই পাতা খেতে পারেন। হজমশক্তি বাড়াতে সহায়তা করে।
 এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পুদিনার জুড়ি নেই।
 যে ব্যাকটেরিয়াটি গ্যাসট্রাইটিসের জন্য অনেকাংশে দায়ী, সেটিকে প্রতিরোধ করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে এর।
 পুদিনায় রোজমেরিক নামক একধরনের উপাদান থাকে, যেটি শ্বাসকষ্ট সৃষ্টিকারী উপাদানকে দূরে রাখে।
 অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতেও এটি সাহায্য করে। এর ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই উপকারী।
 খেলাধুলা কিংবা ব্যায়ামের কারণে শরীর ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা খেতে পারেন। এটি শরীরের ব্যথা দূর করতে খুবই উপকারী।
 মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করারও অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে পুদিনা পাতার।
 সারা দিনের পরিশ্রম শেষে এক গ্লাস পুদিনার রস খান। দেখবেন সতেজ লাগছে।
গ্রন্থনা: সিদ্ধার্থ মজুমদার