অফিসেও কেন নয় আরামদায়ক পোশাক
একসময় অফিস পরিধেয় বলতেই বোঝানো হতো ফরমাল পোশাক। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ধ্যানধারণার পরিবর্তন হচ্ছে। হোক সেটি অফিস বা অফিসের চার দেয়ালের বাইরের কোনো কাজ, ক্যাজুয়াল পোশাকই এখন আধুনিক তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে কোভিড ও লকডাউন-পরবর্তী সময়ে পোশাকের ক্ষেত্রে মানুষের অভ্যাসের অনেক পরিবর্তন আসছে। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ মানুষ অভ্যস্ত হলো। এরপর ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাকই ‘অফিশিয়াল’ হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে। ফ্যাশন মিডিয়া এর একটা গালভরা নামও দিয়েছে—‘ক্যাজুয়াল ইজ অফিশিয়াল’।
ক্যাজুয়াল মানেই আরামদায়ক
যেকোনো ক্যাজুয়াল পোশাকই সাধারণত আরামদায়ক হয়। দৈনন্দিন চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়। অফিস বা অফিসের বাইরে ব্যবহারের জন্য ক্যাজুয়াল পোশাকই সবচেয়ে স্বস্তিদায়ক।
কর্মক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ায়
ডাইভার্সিটি বিষয়টি এখন বর্তমান বৈশ্বিক কর্মপরিবেশে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি অফিসে বিভিন্ন দেশ, ধর্ম, জাতির মানুষ থাকে। ক্যাজুয়াল পোশাকের ব্যবহার উৎসাহিত করলে সবাই নিজ নিজ স্বকীয়তা বজায় রেখে পোশাক পরতে পারে।
আবহাওয়ার উপযোগী
বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি। ৩০ থেকে ৪০ ডিগ্রি। সেখানে শীতের দেশের ফরমাল পোশাক স্বাভাবিকভাবেই প্রযোজ্য নয়, স্বস্তিদায়কও নয়। অন্যদিকে, স্যুট আর টাই পরে থাকা মানে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বেশি বেশি ব্যবহার। তাই ক্যাজুয়াল ড্রেস ব্যবহার করলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার কমে যায়। ফলে, বিদ্যুতের অপচয় রোধ হয়, আর পরিবেশও কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
কর্মীদের আকৃষ্ট করে
গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা অন্তত ৬০ ভাগ চাকরিপ্রত্যাশী আশা করেন এমন অফিস, যেখানে ক্যাজুয়াল ড্রেসকোড মেনে চলা হয়। অর্থাৎ নিজের স্বস্তিমতো পোশাক পরে অফিস করার স্বাধীনতা আছে। তাই বর্তমানে অধিকাংশ বহুজাতিক কোম্পানি ক্যাজুয়াল ড্রেস কোড চালু করেছে।