করোনাকালে অনলাইন ক্লাসে শিশুর সতর্কতা
করোনাকালে অনলাইনে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে দীর্ঘ সময় শিশুদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতো ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় রাখতে হবে।
দীর্ঘ সময় ঘাড় নুইয়ে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার জন্য ঘাড় ব্যথা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঘাড়ের সামনের দিকের ফ্লেক্সর গ্রুপের মাংসপেশি সংকুচিত হয়ে থাকে এবং পেছনের দিকের এক্সটেনসর গ্রুপের মাংসপেশি অস্বাভাবিক টানের ফলে লম্বা হয়ে থাকে এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। দুই গ্রুপের মাংসপেশিতে অস্বাভাবিক টানের ফলে তাদের দৈর্ঘ্যে পরিবর্তন আসে এবং মেরুদণ্ডের উত্তল-অবতল বক্রতা বজায় থাকে না। কখনো কখনো এই মাংসপেশিতে ট্রিগার পয়েন্ট তৈরি হয়, ফলে ব্যথা ঘাড়ের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যেসব বাচ্চা থুতনি সামনের দিকে রেখে কাজ করে, তাদের মাথার ভর ঘাড়ের কশেরুকাগুলোর মাঝখানে থাকা ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক বরাবর পড়ে। ফলে মাথাব্যথা, ঘাড়ব্যথা এবং চোখব্যথা হতে পারে। আবার দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। দীর্ঘক্ষণ হেডফোন দিয়ে কথা বলায় বাড়তে পারে কানের নানা ধরনের সমস্যা।
বর্তমানে বাজারে মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপের বিভিন্ন স্ট্যান্ড পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করে মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনের উচ্চতার পরিবর্তন করে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যাতে বাচ্চার ঘাড় সোজা থাকার সঙ্গে সঙ্গে তার চোখের অবস্থান স্ক্রিনের মাঝ বরাবর থাকে। বিছানায় বা সোফায় শুয়ে, আধশোয়া হয়ে বা বাঁকা হয়ে ক্লাস করবে না। চেয়ার–টেবিলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ সঠিক উচ্চতায় স্থাপন করুন। এ ছাড়া ঘাড়ের ব্যায়াম করতে হবে।