২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

আপনার রাশি

মেষ ২১ মার্চ-২০ এপ্রিল। ভর # ৬

রাশিফলকে আমি যদি ‘রাশিফুল’ বলতে চাই, তাহলে কি আপনার আপত্তি আছে, ডিয়ার মেষ? আপত্তি থাকা তো উচিত নয়, কেননা প্রতি শনিবারে আমি আপনার এবং আপনাদের বাগানে রাশির ফুল ফোটাই। থাক, আর প্যাঁচাল পাড়ব না। চলতি সপ্তাহে প্রিয় মেষ, আপনার লোকাল, ডমেস্টিক অথবা আন্তর্জাতিক ভ্রমণযোগ দেখতে পাই। সপ্তাহজুড়ে সব মেষেরই এসব ভ্রমণ হতে থাকবে...তা কিন্তু বলছি না।

বৃষ ২১ এপ্রিল-২১ মে। ভর # ১

মধুকণ্ঠী বৃষ তোমার এত কুণ্ঠা কেন, সাত দিনের এই যাত্রাপথে এত লজ্জা কেন? বিধি মধুর গলা যদি দিয়েছিল, সে কি আমারই কানে এসে ঢুকিবে না? রবীন্দ্র-বিধি ডাগর আঁখি যদি...। এ সপ্তাহে আপনার রাশির আবহাওয়া বার্তা ভালোই আছে দেখতে পাই। তবে যদি আপনার ওই মিষ্টি কণ্ঠ নিয়ে আপনি কারও কানে বজ্রবর্ষণ না করেন...তাহলেই হয়েছে! ঝগড়া-গালিগালাজ কি আপনাকে মানায় মৌ-মৌ-মৌ-কণ্ঠী বৃষ?

মিথুন ২২ মে-২১ জুন। ভর # ৬

শুধু মিথুন কেন...সব রাশির মধ্যে তিন পদেরই নারী-পুরুষ থাকতে পারেন...মাঠের, জীবনের ও মনের খেলোয়াড়। আজ শুধু মিথুন ‘মনোক্রীড়াবিদ’দের কথা বলব। চলতি সপ্তাহে মিথুন, আপনি দারুণ একটা মনের ফুটবল খেলবেন...একেবারে স্ট্রাইকার পজিশনে। আর ক্রিকেটের ভাষ্য অনুযায়ী বলতে গেলে, আপনার বল এ সপ্তাহে আপনার রো-রো-রোমান্টিক প্রতিপক্ষের মধ্য-স্টাম্প উড়িয়ে নিয়ে আকাশে পাঠিয়ে দেবে। আপনি যদি ব্যাটসম্যান হন...তাহলে আপনার হাঁকানো ছক্কাটি ডজন রানের সমান হবে। মোদ্দা কথা, হৃদয়ের কারবারে এ সপ্তাহে আপনি চরম সাফল্য পাবেন।

কর্কট ২২ জুন-২২ জুলাই। ভর # ২

রবীন্দ্রনাথ তাঁর এক কবিতায় বলেছেন: পর্বত চাহিল হতে/ বৈশাখের নিরুদ্দেশ মেঘ। আর যেহেতু এটা আশ্বিন, তাই আমি বলছি পাঠক: কর্কট পরিল আজি/ আশ্বিনের নিরুত্তর বেশ। প্রিয় কর্কট অ্যান্ড কর্কটিকা, এ সপ্তাহে আপনাদের ভাবনা এবং ইচ্ছেগুলো শরতের নীল আকাশে ভাসবে, ডানা ঝাপটাবে। আহ্, কী দারুণ ‘সুখানন্দ’! এ সপ্তাহে দূরে ছেড়ে-আসা কোনো বন্ধুর সঙ্গে আপনার আচমকা যোগাযোগ ঘটে যেতে পারে। (তখন তো আর এই জইতিশির কথা আপনার মনে থাকবে না!)

সিংহ ২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট। ভর # ১

সিংহ মাইয়া অথবা পোলা হিসেবে আপনি যথেষ্ট আত্মকেন্দ্রিক হলেও স্বার্থপর মোটেও নন। আপনার মনখানা চলতি সপ্তাহে খানিকটা আর্দ্র বা নরম অবস্থায় বিরাজ করবে। রোমান্টিক বিষয়ের প্রতি আপনি খুব মনোযোগী হয়ে উঠবেন, এমনকি দাম্পত্য জীবনেও। প্রাসঙ্গিক বয়সে এখন আপনার মনে ঘর বাঁধার বাসনা তীব্র হয়ে উঠবে। শ্যামল মিত্রর প্রাচীন একটা হিট গান এ সময়ে আপনার খুব ভালো লাগবে হয়তো: কাজললতা কন্যা চলে কাঁকন বাজিয়ে, তারপর...কাজললতা ঘর বাঁধবার স্বপ্ন দেখেছে/ হৃদয়ে কোন রাখাল ছেলের ছবি এঁকেছে।

কন্যা ২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর। ভর # ২

সম্প্রতি মাহমুদ নামে কন্যা রাশির এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হলো। দিনাজপুরের ছেলে। কাজ করেন ঢাকায় ইউএনডিপিতে। দেখলাম তিনি প্রায় খাঁটি একজন কন্যা...যেমন সুদর্শন, তেমনই ভদ্র, অমায়িক। প্রিয় কন্যা, রাশিগতভাবেই আপনি খুব উচ্চ আকাঙ্ক্ষী হলেও কাউকে ল্যাং মেরে সামনে চলে যাওয়ার মানসিকতা আপনার নেই। আপনি বিশ্বাস করেন সুস্থ প্রতিযোগিতায়। আপনি কেবল আপনার যোগ্যতার সমান স্বীকৃতিটুকুই কামনা করেন। চলতি সপ্তাহে আপনি ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে অনেকটাই ঝামেলামুক্ত হতে পারবেন বলেই তো ‘মোর মনে লয়’। কী, খুশি তো? তাইলে এবার মারুন একখানা হাইভোল্টেজ হাসি!

তুলা ২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর। ভর # ২

আতিক নামে তুলা রাশির এক অচেনা পাঠকের মোবাইল বার্তা পড়ে আমার মেজাজ বিগড়ে যায়: তিনি কল্পনা করেছেন, তাঁর নিজের মতো আমিও নাকি অসম্ভব এক দুঃখী মানুষ! আপনিই বিচার করুন প্রিয় তুলা, একটু-আধটু মনোদৈহিক দুঃখ-কষ্ট কার না থাকে। পাঠক, আতিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে আজ আমার বলতে ইচ্ছে করছে: প্রিয় ‘তুলাতিক’, আপনার বার্তা পড়ে আমার মনে পড়ে যাচ্ছে সেই লেজ-কাটা শিয়ালের গল্পটা। যা-ই হোক, চলতি সাত দিনের জন্যে সব তুলা নারী-পুরুষের উদ্দেশে আমার ভবিষ্যৎ বার্তা হচ্ছে এই যে : তুলা তুমি পার হয়ে যাবে আজি/ সামনের খরস্রোতা নদী...।

বৃশ্চিক ২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর। ভর # ২

চিক চিক করে বালি/ কোথা নাই কাদা/ বৃশ্চিক হেঁটে যায়/ মানে না তো বাধা। কিছু না, রবীন্দ্রনাথের পদ্যের প্যারোডি করলাম। চরম বেয়াদবি! এ সপ্তাহে আমি বৃশ্চিককে বলেকয়েই একটা বেয়াদবি করব। মনগড়া কিছু নয়, গ্রিক রাশিশাস্ত্র এবং মহান গ্রিক দার্শনিক পিথাগোরাসের অঙ্কের ওপর নির্ভর করে বের করা রাংফং, অর্থাৎ রাশিফল। ওটাকে আপনি ফল না বলে ফুলও বলতে চান, ভুল হবে না। চলতি সপ্তাহে বৃশ্চিক মানসিকভাবে অতি অন্ত (অত্যন্ত) ক্রিয়াশীল থাকবেন। তাই আগেভাগেই তাঁর কর্তব্য হবে জাতীয় আবেগ নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা। তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন বৃশ্চিক, আশা করি আপনি আমার বক্তব্য বুঝে গেছেন।

ধনু ২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর। ভর # ৯

গড়পড়তাভাবে বলতে গেলে, সোনালি যুগের গান বা হারানো দিনের গান বর্তমানের তুলনায় অনেক সুস্থ ছিল, সুরে-কথায়-গায়কিতে। খামোখা তর্ক করতে যাবেন না, আমার কথাটা খণ্ডন করা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার। নিয়মিত যাঁরা বাংলা গান শোনেন...তাঁরা তো এমনিতেই আমার সঙ্গে মতের মিলটা খুঁজে পাবেন। কলকাতার কিছু শিল্পীর গান আমার সারা জীবনের সঙ্গী। তাঁদের মধ্যে আছেন একজন, গীতিকার-সুরকার-কণ্ঠশিল্পী হিসেবে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো: জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। এসবের পরও কথা থাকে এই যে, পুরোনো গান মানেই যে ভালো গান...তা নয়। আমার এসব কথা শুনে রাগ করবেন না, প্রিয় ধনু। আপনার ওপর আমি পাণ্ডিত্য ফলাতে বসিনি। শুধু বলতে চাই, সংগীত হচ্ছে বাতাসে ভেসে আসা এক মহৌষধের নাম। গান শুনুন খুব করে।

মকর ২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি। ভর # ৩

দক্ষ বিশ্লেষক সাংবাদিকদের প্রতি রয়েছে আমার মন-ভরা শ্রদ্ধা। তাঁরা কাগজে লিখুন আর রেডিও-টিভিতেই কাজ করুন...সাধারণজনের চোখে চিন্তার জানালা খুলে দেন। আমার ভাবনাগুলো নতুন আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। দৈনিক সংবাদপত্রকে আমি তো বলি ১০ টাকায় মহান শিক্ষক! প্রতিদিন গোটা বিশ্বটাকে আমাদের নজরের মধ্যে এনে দেয়। প্রিয় মকর, দারুণ স্মার্টভাবে কাটবে আপনার আজ এবং আগামী সাত দিন। আমার কথাটা বিফল হলে ‘মূল্য ফেরত’।

কুম্ভ ২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি। ভর # ৯

কলকাতার মহান শিল্পী সুবীর সেনের গান আমি আমার ছেলেবেলা থেকেই ভালোবাসি। আপনিও হয়তো তা-ই। তাঁর গানগুলোর মধ্যে: হয়তো তোমার অনেক ক্ষতি করেছি/ কাছে এসে/ ভালোবেসে। কিংবা: তুমি আমার প্রেম/ চৈত্র দিনের পাতা ঝরার সময়/ মুকুল ফোটার প্রত্যাশা। নয়তো: পাগল হাওয়া কি আমার মতো তুমিও হারিয়ে গেলে…কী গভীর কথা-সুর এবং গাওয়া। প্রিয় কুম্ভ, ভাববেন না...ব্যাটা পাজি ফাঁকিবাজ জইতিশি আমার রাশিফলটা লিখতে গিয়ে মিউজিক ক্লাস নিতে শুরু করেছে। এবার নিন বলছি, সপ্তাহ আপনার কাটবে ভালো-মন্দ ৫০:৫০ অনুপাতে। শুনে মুখ বেজার করবেন না, প্লিজ। আপনার জন্য অনেক ভালো এই অঙ্কের ফল। শুভ হোক!

মীন ১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ। ভর # ৩

আজ আবার সেই পথে/ দেখা হয়ে গেল/ কত সুর কত গান/ মনে পড়ে গেল/ ভালো আছো তো?/ বলো, ভালো আছো তো...(মান্না দে)। এ সপ্তাহে অনেক দিন আগেকার হারিয়ে যাওয়া কোনো বন্ধু কিংবা বান্ধবীর সঙ্গে আপনার আচমকা দেখা হয়ে যাওয়ার/ যোগাযোগ হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যদি তা ঘটেই যায়, তাহলে আমাকে জানাতে ভুল করবেন না। আমি আপনার মনের আনন্দের উৎস হতে চাই।

আপনি নিজেই আপনার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন শতকরা ৯০ থেকে ৯৬ ভাগ। বাকিটা আমরা ফেট বা নিয়তি বলতে পারি। ভাগ্য অনেক সময় অনির্দিষ্ট কারণে আপনা থেকেও গতিপথ বদলাতে পারে। এখানে রাশিচক্রে আমি ‘নিউমারলজি’ বা ‘সংখ্যা-জ্যোতিষ’ পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি—কাওসার আহমেদ চৌধুরী