গরম সেঁকে উপকার অনেক
শরীরের নানা ব্যথায় গরম সেঁক দেওয়ার রীতি বহুদিনের পুরোনো পদ্ধতি। কিন্তু আসলেই কি গরম পানির সেঁক দেওয়ার কোনো কার্যকারিতা রয়েছে? আর থাকলেই–বা তা কোন কোন ক্ষেত্রে উপকারে আসে?
গবেষণা বলছে, দীর্ঘদিনের দিনের ব্যথা, ক্রনিক কোমর ব্যথা, বাতের ব্যথায় গরম সেঁক বা হিট থেরাপি কার্যকর। গরম সেঁক অনেক সময় মাংসপেশির ব্যথা এবং সন্ধির জড়তা দূর করে।
গরম সেঁক কীভাবে কাজ করে?
যখন পেশি বা সন্ধিতে গরম সেঁক দেওয়া হয়, তখন সেখানকার রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়, ফলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। রক্ত চলাচল বেড়ে যাওয়ার ফলে আক্রান্ত মাংসপেশিতে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ বেড়ে যায়। সুষ্ঠুভাবে রক্ত চলাচল হয় বলে মাংসপেশিতে আরামবোধ হয়।
বাড়িতে কী কী ধরনের সেঁক দিতে পারেন?
গরম পানির সেঁক
হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি ভরে সেঁক দিতে পারেন। তবে এ বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে ব্যাগ ফেটে বা অসাবধানতায় কর্ক খুলে দুর্ঘটনা হতে পারে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট সেঁক দিতে পারেন।
গরম পানিতে গোসল
দিনের শুরুতে গরম পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে গোসল করলেও উপকার পাবেন। এতে বাত রোগীদের সকালবেলার স্টিফনেস বা জড়তা অনেকটাই দূর হয়। গোসলের পানির তাপমাত্রা ৯২ থেকে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট হওয়া উচিত।
যাঁরা নিয়মিত ব্যায়াম করেন বা হাঁটতে বের হন, তাঁরা ব্যায়ামের আগে গরম পানিতে গোসল করতে পারেন। এতে করে সন্ধি এবং মাংসপেশি রিলাক্স হবে এবং ব্যায়ামের ফলে আঘাতের ঝুঁকি কমে যাবে।
গরম পানিতে ব্যায়াম
যেসব রোগী বাত বা আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন, তাঁরা সুইমিংপুলে হালকা গরম পানিতে সাঁতার কাটতে পারেন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন। একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী থেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে পারেন।
লবণ সেঁক
অনেক সময় ছোট জায়গায় ব্যথা হলে (যেমন কানের গোড়া, হাতের কনুই) লবণ গরম করে একটা কাপড়ে পেঁচিয়ে নিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে।
মনে রাখবেন, আঘাত পেলে তৎক্ষণাৎ সেখানে গরম সেঁক দেওয়া উচিত নয়। বরং এ রকম ক্ষেত্রে ব্যথা পাওয়ার পর বরফ বা ঠান্ডা পানির সেঁক দেওয়া দরকার। ক্রনিক বা দীর্ঘদিনের ব্যথায় গরম সেঁক কাজ করে।
তবে যেকোনো সেঁক দেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আগামীকাল পড়ুন: করোনাভাইরাস