বাহারি ব্লাউজের বছর
ফ্যাশন জগতে এ বছরটা যেন বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এতটা কেড়েছে যে পোশাকের প্রতিটা অংশ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা যাবে। এ বছর দেখা গেছে দেশি পোশাকে পশ্চিমা ফিউশন, অথবা আদিকালের ফ্যাশনে হালের ছোঁয়া। সব ছাপিয়ে বেশি বৈচিত্র্য দেখা গেছে ব্লাউজে। কোনো সন্দেহ? ফ্যাশন ডিজাইনাররা এ কথার সঙ্গে একমত, বলেছেন শাড়ির সঙ্গে নয়, এবার ব্লাউজের সঙ্গে মিলিয়ে শাড়ি পরার চল দেখা গেছে।
ব্লাউজের বিষয়ে বরাবরই সচেতন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। কেননা শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসেন তিনি। তাই ব্লাউজের ক্ষেত্রে কিছুটা খুঁতখুঁতে স্বভাব আছে তাঁর। অনেক সময় আগে ব্লাউজ তৈরি করে পরে মিলিয়ে শাড়ি কেনেন। বললেন, ‘আমি সাধারণত সময় নিয়ে ব্লাউজ বানিয়ে নিই। খুব তাড়াহুড়ো করি না। আর হাতে একদম সময় না থাকলে ফ্যাশন হাউসগুলোতে খুঁজি।’ একরঙা সুতি শাড়ির সঙ্গে ছাপা নকশার (প্রিন্টেড) কাপড় দিয়ে তৈরি ব্লাউজ পরতে দেখা গেছে এবার। বাটিকের ব্লাউজও ছিল। গতানুগতিক ব্লাউজের হাতার পাশাপাশি ফ্রিল (ঝুল) দেওয়া হাতাও চলেছে।
ফ্যাশন হাউস অঞ্জনসের নির্বাহী প্রধান শাহিন আহম্মেদ বললেন, ‘এ বছর নানা রং-ঢঙের তৈরি ব্লাউজ বাজারে দেখা গেছে। ছাপা নকশার ব্লাউজের কদর ছিল বছরজুড়ে। শেষের দিকে যোগ হয়েছে এরই ভিন্নরূপ ‘প্যাচওয়ার্ক’-এর ব্লাউজ। সুতি ব্লাউজের চাহিদা ছিল বেশি। চলেছে লিনেন আর অ্যান্ডি কটন। ডিজিটাল, স্কিন ও ব্লক ছাপার ব্লাউজের কদরও কম ছিল না। ব্লাউজের হাতা এবং গলার নকশায় অভিনবত্ব দেখা গেছে।
থ্রি কোয়ার্টার হাতা মানুষ বেশি পছন্দ করেছে। পুরো হাতা, অর্ধেক হাতা কিংবা হাতা কাটা ছাড়াও ফ্রিল দেওয়া হাতা চলেছে বেশ। গলার নকশাতেও ছিল ভিন্নতা। তবে হাই নেকের চেয়ে বোট নেক বা অন্য নকশার গলার চাহিদা বেশি ছিল। ভিন্ন নকশার ব্লাউজ পেতে অনেকেই ছুটেছেন ফ্যাশন হাউসগুলোতে। আবার ইচ্ছেমতো গড়িয়ে নিতে দরজির কাছে গিয়ে নকশা এঁকে বুঝিয়ে দিয়েছেন গ্রাহক। কিছু ফ্যাশন হাউসে ব্লাউজের জন্য আলাদা বিভাগও চালু করতে দেখা গেছে।