পশ্চিমবঙ্গে করোনার গুচ্ছ সংক্রমণের ঘোষণায় আতঙ্ক

পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গে করোনার গুচ্ছ সংক্রমণ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা জানান। এই ঘোষণায় রাজ্যবাসীর মনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছিল। তখনই সন্দেহ করা হচ্ছিল, রাজ্যে করোনার গুচ্ছ সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। অবশ্য এই সন্দেহ আমলে নিচ্ছিল না রাজ্য সরকার। শেষমেশ সরকার স্বীকার করল, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় করোনার গুচ্ছ সংক্রমণ শুরু হয়েছে।

গতকাল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণে মারা গেছে ৩৫ জন। সংক্রমিত ২ হাজার ২৮২ জন।

পশ্চিমবঙ্গে এ পর্যন্ত সংক্রমিত ৪৪ হাজার ৭৬৯ জন। মারা গেছে ১ হাজার ১৪৭ জন। সুস্থ ২৬ হাজার ৪১৮ জন।
গতকাল রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, করোনা রোধে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গে সপ্তাহে দুদিন পুরোপুরি লকডাউন হবে। এই দুদিন হলো বৃহস্পতি ও শনিবার। এটা চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

শাহ-ধনখড় বৈঠক
করোনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতিসহ রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় গতকাল কথা বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে। দিল্লিতে দেড় ঘণ্টার বৈঠকে রাজ্যপাল বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

কলকাতা ছাড়ার আগে রাজ্যপাল টুইট করে বলেছিলেন, রাজ্য ও রাজ্যবাসীর কল্যাণই তাঁর কাছে সবচেয়ে জরুরি। এটা তাঁর সাংবিধানিক কর্তব্যও। তাই সংবিধান মেনেই তিনি রাজ্য ও রাজ্যবাসীদের নিয়ে কিছু কথা বলতে দিল্লি যাচ্ছেন।

বৈঠক শেষে রাজভবন থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি (রাজ্যপাল) জানিয়েছেন, গত এক বছরে দায়িত্বকালে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে খাদের কিনারে যেতে দেখেছেন তিনি। রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথাও তিনি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের দুর্বল পরিকাঠামো, আম্পান ত্রাণে দুর্নীতি, বিরোধী দলগুলোর ওপর রাজনৈতিক হিংসা, পুলিশের ভূমিকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংবিধান না মানা ইত্যাদি প্রসঙ্গ জগদীপ ধনখড় তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।