২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

প্রিয়াঙ্কাকে ঘর ছাড়ার নোটিশ

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

শাসক দলের কোপে পড়লেন ভারতের কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র। তাঁকে এই মাসের মধ্যে দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়ার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। প্রিয়াঙ্কা ২৩ বছর ধরে ৩৫, লোদি এস্টেটের বাসিন্দা।

সরকারি এই নোটিশ গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে পাঠানো হয়। নোটিশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবারই প্রিয়াঙ্কা জুন মাসের শেষ পর্যন্ত তাঁর বকেয়া ভাড়া ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৭৭ টাকা অনলাইনে শোধ করে দেন। প্রিয়াঙ্কার ওই বাংলোর মাসিক ভাড়া ৩৭ হাজার রুপি।
প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) তৈরি করা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর। পরবর্তীকালে একাধিকবার ওই আইন পরিবর্তন ও সংশোধিত হয়েছে। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে নরেন্দ্র মোদির সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে ‘এসপিজি কভার’ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে এসপিজিকে অব্যাহতি দিয়ে সেই ভার তুলে দেওয়া হয় আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের ওপর। এবার প্রিয়াঙ্কাকে সরকারি বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। প্রিয়াঙ্কা সরকারি বাংলোয় থাকার অধিকার পেয়েছিলন এসপিজি আইন মোতাবেক। ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি ওই বাংলোর বাসিন্দা।
প্রিয়াঙ্কা নিজে কিংবা তাঁর মা কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী অথবা ভাই রাহুল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরযেওয়ালা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘কংগ্রেস নেতৃত্বের ওপর মোদি ও তাঁর সরকার ক্ষিপ্ত। হিংসা ও ক্রোধে তারা অন্ধ। উত্তর প্রদেশে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিত্যদিন রাজ্য সরকারের অপশাসন উন্মেষ করছেন। তা রুখতে এই প্রতিহিংসা। তবে কংগ্রেস এতে বিচলিত নয়।’
কংগ্রেসে এই মুহূর্তের জল্পনা, প্রিয়াঙ্কা এবার থেকে বেশি সময় কাটাবেন উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌতে। সেখানে ইন্দিরা গান্ধীর মামি প্রয়াত কংগ্রেস নেত্রী শীলা কলের বাড়ি রয়েছে। প্রিয়াঙ্কা সেখানেই ঘাঁটি গাড়বেন। বেশি সময় ওখানে থেকে দলকে চাঙা করবেন। তবে লোদি রোডের বাংলো ছেড়ে দিল্লিতে প্রিয়ঙ্কার ঠিকানা কী হবে, এখনো অজানা।
কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজনৈতিক মোকাবিলায় না নেমে বিজেপি ও মোদি সরকার নানাভাবে সোনিয়া ও তাঁর পরিবারকে হেনস্তা করছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা রুজু হয়েছে। প্রিয়াঙ্কার ব্যবসায়ী স্বামী রবার্ট ভদ্রর বিরুদ্ধে জমি কেনাবেচা–সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগের তদন্ত চালানো হচ্ছে। রবার্টের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, কংগ্রেস শাসনামলে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ওএনজিসির সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাংয়ের চুক্তির ‘কাটমানি’ হিসেবে সঞ্জয় ৫০ লাখ ডলার নিয়েছিলেন রবার্ট ভদ্রর হয়ে। সেই অর্থে লন্ডনে সম্পত্তি কেনা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সোনিয়ার অতি ঘনিষ্ঠ প্রবীণ নেতা আহমেদ প্যাটেলের বিরুদ্ধেও ‘অর্থনৈতিক দুর্নীতির’ অভিযোগ আনা হয়েছে। প্যাটেলকে চলতি সপ্তাহে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করা হয়।