কনের বাড়ি নয়, ভোটকেন্দ্রে গেলেন নতুন বর
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট শুরু হয়েছে। দিল্লির ক্ষমতাসীন দল আম আদমি পার্টি ও কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে লড়াই হবে বলে জরিপে বলা হয়েছে। এ ছাড়া লড়াইয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এখন দেখার ব্যাপারটি হলো মুকুট কার মাথায় ওঠে। কিন্তু ভোটের সকালে ঘটল মজার ঘটনা। ভোট দিলেন নতুন বর।
এএনআইয়ের টুইটার পেজে এক ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে সপরিবারে ভোট দিলেন নতুন বর। ভোটারদের লাইনে দেখা গেল ‘দুলহে রাজা’কে—বিষয়টিকে ভারতের গণমাধ্যম এভাবেই ব্যাখা করেছে। বিয়ের দিন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভোট দেন নতুন বর।
আজ শনিবারই বিয়ের দিন ওই ব্যক্তির। বিয়ের পোশাক পরে কনের বাড়িতে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনি সোজা গেলেন ভোটকেন্দ্রে। একা নন, পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি ভোট দিতে যান। পূর্ব দিল্লির শাকারপুর বুথে আজ সপরিবারে ভোট দেন ওই ব্যক্তি। বিয়ের সাজেই ভোটকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়ান ভোট দিতে। বরবেশে ওই ব্যক্তিকে দেখে অনেকে সেলফি ও ছবি তোলেন। ভোট দেওয়ার আগে ও পরে নতুন বরকে আলোকচিত্রীদের সামনে বিভিন্নভাবে পোজ দিতেও দেখা গেছে।
দিল্লিতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য আবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালই ফিরবেন, না লোকসভা ভোটের মতো দিল্লি বিধানসভা ভোটেও দেখা যাবে নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক, এর উত্তর জানা যাবে আগামী মঙ্গলবার। আজ সকাল আটটা থেকে ভারতের রাজধানীতে ৭০টি বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে ভোট। ১ কোটি ৪৭ লাখ ভোটার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ভোট দেবেন।
সকালে স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী মেয়ে প্রিয়াংকা গান্ধীকে নিয়ে সকালেই ভোট দিয়েছেন। রাহুল গান্ধীও ভোট দিয়েছেন।
টুইটে তরুণদের ভোট দিয়ে রেকর্ড গড়ার আহ্বান মোদির
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের সকালেই সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিশালসংখ্যক মানুষকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ সকালে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, দিল্লির মানুষের কাছে আবেদন করছি, বিশেষত আমার নবীন বন্ধুদের কাছে আবেদন যেন তাঁরা রেকর্ডসংখ্যক ভোট দেন।
২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি মোট ৭০ আসনের মধ্যে তিনটি আসন পেয়েছিল। তবে এবার দলটি মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে হারিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। বিজেপি অবশ্যই বরাবরের মতো এবারও মোদির নীতির ওপর ভিত্তি করেই দিল্লিতে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছে।