জমির দখল পাচ্ছে জ্যোতি বসু ট্রাস্ট
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বামপন্থী নেতা জ্যোতি বসুর নামে সিপিএমের গড়া জ্যোতি বসু ট্রাস্টের পাঁচ একর জমির দখল ফিরে পাচ্ছে ট্রাস্ট। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ আট বছর পর ওই জমি ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর সিপিএম তাঁর নামে একটি ট্রাস্ট গঠন করে। ট্রাস্টের জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার কলকাতার উপশহর রাজারহাটের নিউটাউনে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করে। সেখানে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ আ্যন্ড রিসার্চ’ নামে একটি কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই জমির রেজিস্ট্রিও হয় যথারীতি।
২০১১ সালে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বামফ্রন্টকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ওই জমির দখল আটকে যায়।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মমতার ভরাডুবিতে উত্থান ঘটেছে বিজেপির। বিজেপিকে রুখতে হলে বাম দল ও কংগ্রেসের প্রয়োজন সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার বিষয়টি বুঝতে পারছেন মমতা। গত ২৬ জুন বিধানসভা অধিবেশনে যোগ দিয়ে রাজ্যপালের ভাষণের ওপর তাঁর ধন্যবাদসূচক বক্তব্যে তিনি সে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, বিজেপি রুখতে কংগ্রেস ও বাম দলকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করা উচিত।
এবারের নির্বাচনে মমতার মতো বামফ্রন্টেরও বোধোদয় হয়েছে। গত ২৮ জুন সিপিএমের তিন নেতা সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব ও অশোক ভট্টাচার্য জমি নিয়ে মমতার কাছে দরবার করতে যান। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, দীর্ঘ আট বছর ধরে রাজ্য সরকার জমির দখল বুঝিয়ে দিচ্ছে না। এরপরেই মমতা পশ্চিমবঙ্গের পৌরমন্ত্রী কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ৮ জুলাই জ্যোতি বসুর জন্মদিনের আগে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
২২ জুলাই ওই জমি জ্যোতি বসু ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের পর রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়।
ট্রাস্টের পক্ষে বলা হয়েছে, জমি হাতে পেলেই জ্যোতি বসুর নামে এখানে গড়া হবে ভবন, গবেষণাগার এবং জ্যোতি বসু জাদুঘর।