ঘর পরিষ্কার করে চলে গেল চোর!
চোর ঘরে ঢুকেছে আর দামি পণ্য নিয়ে চম্পট দেয়নি—এমন দুর্লভ ঘটনা খুব কমই ঘটেছে। তাও আবার মালামাল না নিয়ে ‘চোর’ উল্টো পুরো ঘর ঝকঝকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখে গেছে! ঠিক এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের নেট রোমান।
১৫ মে কর্মময় দিন শেষে নেট বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর বাড়ির সামনের ঘরের দরজার তালা খোলা। এটি দেখেই নেটের মন অশুভ চিন্তায় কেঁপে উঠেছিল। তিনি ধারণা করেছিলেন, চোর ঢুকে ঘরের সব মালামাল গায়েব করে দিয়েছে। কিন্তু ঘরে ঢুকে বিস্ময়ের সঙ্গে তিনি দেখেন, কোনো কিছুই চুরি হয়নি। উল্টো বাসার প্রতিটি জিনিস সাজানো–গোছানো রয়েছে। এ ছাড়া সব ঘরের নোংরা পরিষ্কার করে ঝকঝকে করা হয়েছে। পরে এ বিষয় একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানান নেট। ওই পোস্ট ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেট বলেন, ‘ঘটনার দিন যখন বাড়ি ফিরি, তখন আমার ছেলে চেঁচিয়ে বলেছিল, “বাবা ঘরের দরজা খোলা!” ঘরের দরজা তালা লাগাইনি, এমন ঘটনা আমার ক্ষেত্রে অসম্ভব বলা চলে। অঘটন ঘটে গেছে এমন আশঙ্কায় দ্রুত আমরা ঘরে ঢুকি।’ তবে বাসায় ঢুকে তিনি হতবাক হয়ে যান। কারণ, কোনো বিশেষ আগন্তুক তাঁর পুরো ঘর সাজিয়ে ও পরিষ্কার করে রেখেছে গেছে।
নেট বলেন, সাধারণত তার ছেলের ঘর লন্ডভন্ড অবস্থায় থাকে। তবে ঘটনার দিন তিনি ওই ঘর সুসজ্জিত অবস্থায় দেখতে পান। এ ছাড়া নিজের ঘরও একই রকম সাজানো অবস্থায় পান তিনি। এমনকি শৌচাগারও পুরোপুরি পরিষ্কার করে রাখা ছিল। এ ছাড়া কাগজ দিয়ে গোলাপ বানিয়ে, তা সেখানে সাজিয়ে রাখা ছিল।
রহস্যময় এ আগন্তুকের ব্যাপারে নেট তাঁর ফেসবুকে লেখেন, ‘কিছু তো তারা নেয়নি (আমি সবকিছু খুঁজে পেয়েছি), বরং আমার শৌচাগার ও শোয়ার ঘর পরিষ্কার করে দেওয়াটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তারা আমার শোয়ার ঘর সাজিয়ে দিয়েছে, কম্বলগুলো গুছিয়ে রেখেছে, শৌচাগার পরিষ্কার করে সেখানে কাগজের তৈরি গোলাপ রেখে গেছে।’
এ ঘটনার পরে নেট পুলিশকে খবর দেন। যেহেতু কাউকে পাওয়া যায়নি এবং নেটের কোনো জিনিস খোয়া যায়নি, তাই এ ঘটনায় পুলিশের কিছু করার ছিল না। অন্যদিকে, নেট ঘরের তালা পরিবর্তন করে নতুন তালা লাগিয়েছেন। রহস্যময় আগন্তুকের রেখে যাওয়া কাগজের তৈরি গোলাপটিও সযত্নে রেখে দিয়েছেন নেট।