স্বামীকে নিয়ে তদন্তকারীদের কাছে প্রিয়াঙ্কা
বিদেশ থেকে দেশে ফিরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। গতকাল বুধবার ২৪, আকবর রোডে দলীয় সদর দপ্তরে এসে উত্তর প্রদেশে তাঁর দায়িত্ব নিয়ে প্রিয়াঙ্কা আলোচনায় বসেন দলীয় নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
উত্তর প্রদেশকে দুই ভাগে ভাগ করে পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়াঙ্কাকে। দলীয় অফিসে ভাই রাহুলের পাশের ঘরটা বরাদ্দ হয়েছে তাঁর জন্য। সেই ঘরে বসেই বুধবার ঠিক হয়, কীভাবে উত্তর প্রদেশে শাসক বিজেপির মোকাবিলা করে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা যায়।
কংগ্রেস সূত্র অনুযায়ী, চলতি মাসেই প্রিয়াঙ্কা ও রাহুল উত্তর প্রদেশে যাবেন। দুজনে মিলে সংবাদ সম্মেলনও করবেন। তবে প্রথম কোথায় যাবেন, লক্ষ্ণৌ না প্রয়াগরাজ (এলাহাবাদ, নেহরুর জন্মস্থান), সেই বিষয়টি নিশ্চিত নয়। প্রিয়াঙ্কার আনুষ্ঠানিক যোগদান উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে অদ্ভুত এক উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
কংগ্রেস অফিস থেকে বাড়ি ফিরে প্রিয়াঙ্কা তাঁর স্বামী রবার্ট ভদ্রের সঙ্গে যান আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসে। বিকেল পৌনে চারটায় ইডি অফিসে স্বামীকে নামিয়ে প্রিয়াঙ্কা বাড়ি ফিরে যান। যাওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সঙ্গে এসে তিনি এই বার্তাই দিতে চেয়েছেন যে তিনি সব সময় স্বামীর পাশেই রয়েছেন।
রবার্ট ভদ্রের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের মাধ্যমে সম্পত্তি বাড়ানোর অভিযোগ এনেছে ইডি। এ নিয়ে তদন্তও চলছে। এই মামলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন পেয়েছেন রবার্ট। তবে আদালত তাঁকে বলেছেন, তিনি যেন ইডির জেরার মুখোমুখি হন। রবার্ট ইতিমধ্যেই বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে অন্যায়, অযৌক্তিক ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগ আনা হয়েছে স্রেফ রাজনৈতিক কারণে।
আদালতে ইডি জানিয়েছিল, তারা রবার্টের কাছ থেকে তাঁর সম্পত্তির খতিয়ান চায়। রবার্ট যেন তা তাদের জানান। বুধবার সেটা জানাতেই রবার্ট যান ইডির দপ্তরে। সেখানে তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করা হয়।
বরার্ট ভদ্রের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, লন্ডনে তিনি একাধিক সম্পত্তির মালিক হয়েছেন দেশ থেকে অবৈধভাবে টাকা পাচারের মাধ্যমে। বিজেপির অভিযোগ, ইউপিএ আমলে বিভিন্ন ‘ডিল’ মারফত ওই টাকা তিনি আদায় করেছেন। বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্রের অভিযোগ, রবার্ট ভদ্ররা কালোটাকা সাদা করেছেন।