মিজোরাম ও মণিপুরে ভারতবিদ্বেষী সমাবেশ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে ভারতের মিজোরাম ও মণিপুরে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে ভারতকে ফিরে যেতে বলা হয় এবং চীনকে স্বাগত জানানো হয়। গতকাল সোমবার ‘গো ব্যাক ইন্ডিয়া, ওয়েলকাম চায়না’, ‘হ্যালো চায়না, বাই বাই ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রথমে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিজোরাম এবং পরে মণিপুরে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে গোটা উত্তর–পূর্ব ভারতেই অশান্তির আগুন জ্বলছে। বিলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী হয়ে ভারতে আসা অমুসলিমদের শর্ত সাপেক্ষে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি বাদে ভারতের প্রায় সব দলই এই বিলের বিরোধী।
গতকাল গুয়াহাটিতে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব জানান, সংসদের চলতি অধিবেশনেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনতে বদ্ধপরিকর বিজেপি।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্ব ভারতজুড়ে রাজনৈতিক ও আইনি লড়াই চলছে। বিল বাতিলের দাবিতে গতকাল দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন বিলবিরোধী উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নেতারা।
প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য বামপন্থী বুদ্ধিজীবী হীরেন গোঁহাই সাংবাদিকদের জানান, কংগ্রেস সভাপতির কাছ থেকে তাঁরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক ত্রিপুরার ‘মহারাজা’ প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মা গতকাল ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ভারতীয় সংবিধানবিরোধী।
এসবের পাশাপাশি চলছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের বর্জন এবং কালো পতাকা প্রদর্শন। আসামের পাশাপাশি এবার মণিপুরও একই পথে হাঁটতে শুরু করেছে।
মণিপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি ভারতের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিন্দি তাঁরা বর্জন করবেন।
আসামে ছাত্রসংগঠন আসু প্রায় প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যদের কালো পতাকা দেখিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসাম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল সফরের কথা রয়েছে। এতে উত্তর–পূর্বাঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।