দুর্নীতি প্রমাণ হলে পদ ছেড়ে দেব: বদি
দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালেন কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি। সব ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি দুর্নীতি করেছি বা একটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছি বা একটি পয়সা অবৈধ পথে আয় করেছি কিংবা মাদক ব্যবসা করেছি বা আমার বিরুদ্ধে করা একটি অভিযোগও প্রমাণিত হলে আমি সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দিয়ে সাধারণ জনগণের কাতারে দাঁড়াব।’
আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে বদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেখান থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বদি বলেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আয়কর দিয়েছি আমি। গত দুই অর্থবছরে সেরা করদাতা হিসেবে আমি কক্সবাজারে পরিচিত। কর-বহির্ভূত একটি টাকাও কোথাও নেই। কোনো কালোটাকাও সাদা করি নাই।’
হলফনামা প্রদর্শন করে তিনি বলেন, ‘সব মিলিয়ে আমার মোট মূলধন ৯ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। এর বাইরে কোথাও একটি টাকা নেই। বিদেশেও আমি কোনো টাকা পাঠাই নাই।’
কোনো ধরনের মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে এ সাংসদ বলেন, ‘কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে প্রশাসনের কাছে সুবিধা নেয়, সেটার দায় তো আমি নিতে পারব না।’ বরং তিনি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা স্রেফ মিডিয়ার অপপ্রচার। আপনাদের এক সাংবাদিকের ভাই মাদকের কারণে এখন কারাগারে, খোঁজ নিয়ে দেখন। আমি নাম বলব না।’
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুদক আমাকে ডেকেছে। আমি দুদককে স্যালুট দেই। এটি তদন্তাধীন বিষয়। এ নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না। গণমাধ্যমের বিভিন্ন অপপ্রচার নিয়ে আমাকে আমার সপক্ষে যুক্তি দেখাতে বলা হয়েছে। আমি দিয়েছি।’
গণমাধ্যম মিথ্যা প্রচারণা চালালে আপনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? জানতে চাইলে বদি বলেন, ‘ইতিমধ্যে কক্সবাজারের বেশ কজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এসব সাংবাদিক আমার চরিত্র হনন করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছে। কই আমার নাকি ৩৬ কোটি টাকা আছে। এনে দেন আমাকে ওই টাকা।’
৩৫১ গুণ আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে টাকার মান আর ২০১১ ও ২০১৩ সালে টাকার মান কি এক? একজন শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি যখন পাঁচ হাজার টাকা, তখন একজন ব্যবসায়ীর আয় কেন বাড়বে না।
অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদিকে আজ সকাল ১০টায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক আহসান আলী। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এ সাংসদ দুদক কার্যালয়ে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগেই উপস্থিত হন। বেলা ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।