ফুয়াদ-মায়ার কাছে আসার গল্প
ফুয়াদ এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক। পুরো নাম ফুয়াদ আল মুক্তাদির। আর মায়া কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে সামাজিক বিজ্ঞানের একটি বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছেন। কানাডায় লেখাপড়ার সময় তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৮ সালের মাঝামাঝি ঢাকায় একটি সংগীতানুষ্ঠানে তাঁদের দুজনের প্রথম দেখা। সেখানেই প্রথম পরিচয়। পরিচয় থেকে ভালো লাগা, কাছে আসা, ভালোবাসা, তারপর...বিয়ে। আজ শুক্রবার সকালে ফুয়াদ-মায়া দুজনেই প্রথম আলোকে জানিয়েছেন তাঁদের ভালোবাসা, কাছে আসার সেই গল্প। গল্পটা তাঁদের মুখেই শোনা যাক—ফুয়াদ বললেন, ‘২০০৮ সালের মাঝামাঝি দেশেই এক গানের অনুষ্ঠানে আমাদের দুজনের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মাধ্যমে প্রথম দেখা হয়। তারপর কিছুটা জানাশোনা। এরপর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের মাধ্যমে মাঝে মাঝে আমাদের আলাপ হতো। অনেক দিন আমাদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত বছর নভেম্বরে আবার কথা হয়। মায়া তখন ঢাকায় কিছু সামাজিক কাজে ব্যস্ত। তখন আস্তে আস্তে দুজনের মধ্যে ভালো লাগা তৈরি হয়। একটা সময় বুঝতে পারি আমরা দুজন-দুজনকে ভালোবাসি। তারপর উভয় পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিই।’মায়া বলেন, ‘আমি আসলে ফুয়াদের ব্যক্তিত্ব দেখে মুগ্ধ হয়েছি। তাঁর গান আমি খুবই পছন্দ করতাম। প্রথম দেখার কিছুদিন পর থেকে সে আমার খুব ভালো একজন বন্ধু। তাই আমি মনে করি কাউকে যদি বিয়ে করতেই হয় তাহলে কেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে নয়? তারপর আমাদের দুজনের বাবা-মাকে ভালোলাগার ব্যাপারটি জানাই। তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা বিয়ের পিঁড়িতে বসি। বিয়েতে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনেরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি ছিলেন সংগীতজগতে ফুয়াদের আত্মীয়স্বজনেরাও।’ বিয়ের পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মায়া বলেন, ‘ভালোবাসার মানুষকে কাছে পেয়েছি এর চেয়ে ভালো অনুভূতি আর কী হতে পারে। খুবই ভালো লাগছে। আর ফুয়াদের তারকাখ্যাতি আমার ভীষণ ভালো লাগে।’ফুয়াদ বলেন, ‘বিয়ের আগে অনেক অগোছালো হলেও মায়ার বন্ধনে জড়ানোর পর বলতে পারেন একেবারে সংসারী হয়ে গেছি। মায়াকে বিয়ে করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’ফুয়াদ বর্তমানে সংগীত নিয়ে ব্যস্ত। আর মায়া সামনে ‘ক্লিনিক্যাল থেরাপি’ বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে ফুয়াদ বলেন, ‘আপাতত সে রকম কোনো চিন্তাভাবনা করিনি। তবে বিয়ের পর আমরা দুজন কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেরিয়েছি।’ মায়া বলেন, ‘ফুয়াদ এবং আমার মা-বাবা সবাই আমেরিকাতে থাকেন। তাই আগামী মঙ্গলবার আমরা দুজন সেখানে যাচ্ছি। থাকব মাস খানেক। এরপর জুনে ঢাকায় ফিরে ফুয়াদ ব্যস্ত হবেন বেশ কয়েকটি অ্যালবামের কাজে। ইচ্ছে আছে তারপরই কাছের সবাইকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করব।’ ফুয়াদ আরও বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব আমাদের জন্য যেন দোয়া করেন।